শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

অস্ত্রবাজ সেই মতিয়ার এখন ঢাবি শিক্ষক!

নিজস্ব প্রতিবেদক

অস্ত্রবাজ সেই মতিয়ার এখন ঢাবি শিক্ষক!

তিন বছর আগে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্র চালনা প্রশিক্ষণের ছবি পত্রিকায় প্রকাশের পর সমালোচনার শিকার সেই মতিয়ার রহমান এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক। তিনি ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই ঢাবিতে প্রভাষক পদে পরিসংখ্যান বিভাগে নিয়োগ পান। সম্প্রতি তাকে পদোন্নতি দিয়ে সহকারী অধ্যাপক করা হয়। ঢাবিতে অধ্যয়নের সময় তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। তার বাড়ি কুড়িগ্রামে। ২০১৩ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে নিয়োগ পাওয়ার পর ওই বছরই তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক পদে যোগ দেন। পরের বছর জগন্নাথের চাকরিতে থাকা অবস্থায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্ত্রহাতে মতিয়ারের ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয়। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ প্রতিদিন এ নিয়ে প্রথম সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করে। জানা যায়, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেকের কাছে ‘পিস্তল চালনার প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময়’ তোলা হয় ওই ছবি।

সেখানে পিস্তল তাক করে দাঁড়ানো মতিয়ারের পাশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও বর্তমান বিসিএস ক্যাডার (অর্থনীতি) আজিজুল হক মামুনকে দেখা যায়। মামুন ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পাওয়ায় মতিয়ার ও মামুনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ছিল। তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তখনকার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজীবুল ইসলাম সজীবকেও ছবিতে দেখা যায়। তিনিই দুই শিক্ষককে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। ওই ছবি সংবাদমাধ্যমে এলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমানকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সজীবকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। সে সময় দুই শিক্ষকের বিচারের দাবিও তোলা হয়েছিল বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে। তবে পরে বিষয়টি আড়ালে চলে যায়।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে চাইলে মতিয়ারের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মতিয়ার রহমান অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা অস্বীকার করে সে সময় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তার হাতে ছিল খেলনা পিস্তল। বাচ্চারা ওই ধরনের পিস্তল নিয়ে খেলাধুলা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ জলিল জানান, মতিয়ারের ওই কাণ্ডের কথা তাদের জানা ছিল না। তিনি নিয়োগ পেয়েছেন ১০ মাস হতে যাচ্ছে। নিয়োগের সময় জানা থাকলে বিভাগের বাছাই কমিটি বিষয়টি দেখত।

সর্বশেষ খবর