মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

এভারেস্টের পথে তুষার ধসের কবলে মৃদুলা, ৪ শেরপা হাসপাতালে

শামছুল হক রাসেল

এভারেস্টের পথে তুষার ধসের কবলে মৃদুলা, ৪ শেরপা হাসপাতালে

এভারেস্টের পথে প্রবল তুষার ধসের কবলে পড়েছে মৃদুলা ও তার সহ-অভিযাত্রীরা। গতকাল সকাল থেকেই তুষার ধসের পাশাপাশি তীব্র ঝড়ো হাওয়া বইছে বেসক্যাম্প এবং কুম্ভু এলাকায়। তুষার ধসের ঘটনায় গুরুতর  আহত হয়েছেন চার শেরপা। বেসক্যাম্প থেকে ওয়ারলেস ফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন দলের একমাত্র বাংলাদেশি অভিযাত্রী মৃদুলা। তিনি বলেন, কুম্ভু এলাকায় কিছুক্ষণ পর পর তুষার ধসের মতো ঘটনা ঘটছে। চার শেরপার মধ্যে অ্যাঙ্ক ফুরবা এবং নিগমা নূরুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধারকারী দল এই দুজনকে হেলিকপ্টারে কাঠমান্ডু হাসপাতালে নিয়ে গেছে। আপাতত বাকিরা বেসক্যাম্পে অবস্থান করছেন।  গত ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় হিমালয়ের বহু কাঙ্ক্ষিত বেসক্যাম্পে পৌঁছেন তিনি। ভূমি থেকে ৫ হাজার ৩৬৪ মিটার, অর্থাৎ ১৭ হাজার ৫৯৮ ফুট ওপরে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের এই তরুণী। এরই মধ্যে দলের অন্যদের সঙ্গে পরবর্তী গন্তব্যের দিকে রওনা দিলেও বারবার ফিরে আসতে হচ্ছে বেসক্যাম্পে। তবে সব কিছু ঠিক থাকলে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এভারেস্টের চূড়ায় আরও একবার উড়তে পারে বাংলাদেশের পতাকা। অর্থাৎ নিশাত মজুমদার এবং ওয়াসফিয়া নাজরীনের পর এবার হিমালয়ের রানী হতে যাচ্ছেন মেডিকেল ছাত্রী এই মৃদুলা। এরই মধ্যে জাপান-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে নির্মিতব্য একটি প্রামাণ্যচিত্রের শুটিং হয়েছে বেসক্যাম্পে।  বেসক্যাম্পে পৌঁছানোর সময় থেকেই ভীষণ ঠাণ্ডা ও তীব্র বাতাসের সঙ্গে লড়াই হচ্ছে তাদের। এছাড়া ১৮ এপ্রিল বেসক্যাম্পে ব্ল্যাক ডে পালন করেন মৃদুলা। ২০১৪ সালের এদিনে এভারেস্টে তুষার ধসে ১৮ শেরপা প্রাণ হারান। নিখোঁজ হন আরও বেশ কয়েকজন। ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মৃদুলা আমাতুন নূর। জন্ম ঢাকায় হলেও শিকড় ফেনীর পরশুরাম উপজেলার গুথুমা গ্রামে। বাবা আবু হেনা ও মা ফরিদা আক্তারের এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে মৃদুলাই বড়। বাবা-মা অবশ্য শুরুতে মেয়ের এই ডানপিটেপনা আবদার মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু মেয়ের আগ্রহ আর অদম্য বাসনার কাছে হার মেনেছেন শেষ পর্যন্ত। এখন তারাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন মেয়ের চূড়ান্ত সাফল্যের খবরে।

সর্বশেষ খবর