বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

খুদে শিক্ষার্থীরা বানাল ড্রোন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

খুদে শিক্ষার্থীরা বানাল ড্রোন

বগুড়ার খুদে শিক্ষার্থীদের ড্রোন উড়ল —বাংলাদেশ প্রতিদিন

বগুড়ার আকাশে উড়ল ড্রোন। খুদে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের   ব্যবহার করে ড্রোন ছাড়াও নানা কিছু উদ্ভাবন করেছে। তাদের মধ্যে কেউ উদ্ভাবন করেছে রোড অ্যাক্সিডেন্ট সেভার, ব্যবহৃত বিদ্যুৎ থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ রিজার্ভ করা, আধুনিক সোলার সিস্টেমে সেচ পাম্প, ডিজিটাল স্কুল, ডিজিটাল ভিলেজ, ফসলের ও পরিবেশের ক্ষতিকর পোকা দমন যন্ত্র, বিদ্যুৎ অপচয় রোধে বিভিন্ন প্রজেক্ট। এসব উদ্ভাবন দেখতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ভিড় করছে। জানা যায়, গতকাল বগুড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৩৮তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু হয়েছে। জিলা স্কুল মাঠে এ মেলা ২৫ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সকালে জিলা স্কুল মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মমতাজ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল জলিল পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রায়হানা ইসলাম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র সরকার, বগুড়া চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি এনামুল হক দুলালসহ জিলা স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্র শাদাব মোস্তফা ড্রোন উদ্ভাবন করেছেন বলে দাবি করে ড্রোনটি মেলায় উড়িয়ে দেখান। শাদাব মোস্তফা জানান, ২ কেজি ভার বহন করা ড্রোনটি তৈরিতে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ড্রোনটি ২ কিমি পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে।

শহরের রহমাননগরে বসবাসকারী শাদাব মোস্তফা জানান, ছেলেবেলা থেকেই তার আবিষ্কারের দিকে ঝোঁক। বাজার থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে ড্রোনটি তৈরি করতে দুই সপ্তাহ লেগেছে। বগুড়া মিলেনিয়াম স্কলাস্টিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরনিকাহ্ নওয়ার জানায়, সে কয়েকজনের সহযোগিতায় একটি রোড অ্যাক্সিডেন্ট সেভার তৈরি করেছে; যার মাধ্যমে মহাসড়কে চলা গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমিয়ে দেবে। বিশেষ একটি সেন্সর প্রতিটি গাড়িতে থাকতে হবে। এ সেন্সরে গাড়ির সামনে ও পেছনে নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে। এরপর গাড়ি চলাচলের সময় নির্ধারিত ওই সীমার মধ্যে অন্য একটি গাড়ি চলে এলে বা ওভারটেকিং করার সময় বিপরীতমুখীর কোনো গাড়ি হঠাৎ করে নির্ধারিত সীমার মধ্যে চলে এলে সেন্সরটি চালকের মনিটরের মাধ্যমে সংকেত দেবে। চালক সংকেত পেয়ে সতর্ক হয়ে যাবে। সংকেত পাওয়ার পরও চালক গুরুত্ব না দিলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে গাড়িটি নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে। বন্ধ হয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে গাড়িটি দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাবে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিদ্যুৎ খরচ কম হওয়ার বিভিন্ন প্রজেক্ট উদ্ভাবন করেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর