বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা
যুব রাজনীতি

কুৎসা রটিয়ে নেতা হওয়া যায় না

—————— ওমর ফারুক চৌধুরী

রফিকুল ইসলাম রনি

কুৎসা রটিয়ে নেতা হওয়া যায় না

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, যুবলীগ স্বাধীনতার পক্ষের যুবসমাজের প্রাণের সংগঠন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেগড়া সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গণমানুষ ও যুবসমাজের কল্যাণে আওয়ামী লীগের সহায়কশক্তি হিসেবে কাজ করে আসছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো অনিয়মতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদলের মতো আদর্শচ্যুত, লুটপাটকারী মিথ্যাচার করা সংগঠনও এটি না। মিথ্যাচার, কুৎসা রটিয়ে, মানুষ হত্যা করে নেতা হওয়া যায় না। ‘কাউয়া’ ইস্যুতে সাম্প্রতিক বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলে, এমপি, মন্ত্রিপরিষদেও কাউয়া আছে।’

বাংলাদেশ প্রতিদিনকে গতকাল এক সাক্ষাত্কারে ওমর ফারুক চৌধুরী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বন্ধুতে আগুন লাগলে প্রেম হয়। দলে কাউয়া এসেছে, কাউয়া ঢুকেছে বলে বিভাজন কাম্য নয়। কাউয়া হচ্ছে পরোপকারী। কাউয়ার মতো ভ্রাতৃত্ববোধ পৃথিবীর আর কোনো প্রাণীর নেই। একটি কাউয়া ইলেকট্রিক শক খেয়ে মারা গেলে আরেকটি কা কা করে চিত্কার করলে শত শত কাউয়া হাজির হয়। এটাও ঠিক, কাকের বাসায় কোকিল ডিম পাড়ে। কাকের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক হাইকমান্ড। আমরা কর্মী। আমাদের কাজ হলো এগতেদাইতু বেহাজাল ইমাম। হাইব্রিডদের কথা যদি বলি— কারা তৃণমূল যুবলীগ, তৃণমূল আওয়ামী লীগ, নৌকা লীগ, তৃণমূল প্রচার লীগ, আওয়ামী ফোরাম, নৌকার সমর্থক গোষ্ঠী, যে নামে যেভাবে আখ্যায়িত করুন এসব সংগঠনের ব্যানারে ‘করিম টিভি’তে সংবাদ সম্মেলন করত? সে সব জাতীয় নেতা, মন্ত্রী মহোদয়রাই তো রাজনীতির হাইব্রিড তৈরির কারখানার মালিক ছিল। কাক অর্থে যদি— মাংস দেখলে, মুরগির বাচ্চা দেখলে ছোঁ মেরে নিয়ে যায় তাহলে বলব—১/১১ এ মাইনাস টু ফর্মুলার যারা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছে, তারা আবার ফিরে এসেছে। দলে এমপি, মন্ত্রিপরিষদে আছেন তারাই তো কাউয়া।’ যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতির অভিজ্ঞতা বলে, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধাচারণ করে, মিথ্যাচার করে, কুৎসা রটিয়ে হত্যা করে নেতা হওয়া যায় না। রাজনীতি করেই নেতা হতে হয়। যুবলীগ হালুয়া রুটির জন্য রাজনীতি করে না। মানুষের কল্যাণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অনেক নেতা-কর্মী প্রাণ দিয়েছেন। তা ছাড়া নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অনিয়মতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পেলে তাত্ক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদকালেই দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ যুবদল সভাপতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আয়নায় নিজের চেহারাই সবার চেহারার প্রতিবিম্ব হিসেবে দেখতে পান। এর থেকে বেশি বলতে চাই না।’ যুবলীগের ভিশন সম্পর্কে চেয়ারম্যান বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ সফল করার লক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সব নেতা-কর্মীকে সম্পৃক্ত করা। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে সুসংগঠিত রাজনীতি সচেতন সহযোগী সংগঠন হবে এটি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোকে ৩ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। যৌক্তিক কারণ ব্যতীত কোনো শাখা সম্মেলন আয়োজনে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে এ ঘোষণার পর অনেক জায়গায়ই সম্মেলন ও নতুন কমিটি নির্বাচনের তৎপরতা লক্ষ্য করেছি।

সর্বশেষ খবর