শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা
বসুন্ধরায় ফুড অ্যান্ড এগ্রো মেলা

পণ্যের সমাহার দেখতে উপচে পড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

পণ্যের সমাহার দেখতে উপচে পড়া ভিড়

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা—আইসিসিবিতে জমে উঠেছে খাদ্য ও এগ্রো মেলা। গতকাল মেলার তৃতীয় দিনে ছিল চমক সৃষ্টিকারী বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, উৎপাদনের প্রযুক্তি, মেশিনারিজের সমাহার দর্শনে উপচে পড়া ভিড়। সরেজমিন দেখা গেছে, পরিবেশবান্ধব শিল্পসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন শিল্পোদ্যোক্তারা। দর্শনার্থীরা স্টলে স্টলে ঘুরছেন। কেপিসি ইন্ডাস্ট্রিজের স্টলে গিয়ে দেখা গেছে বিভিন্ন রঙের চমৎকার ডিজাইনের সব কাপ, প্লেট, গ্লাস। প্রথম দর্শনে মনে হয়েছে, সিরামিকের ওপর বিভিন্ন কোম্পানির লোগো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এসব পণ্য। হাতে নিয়ে দেখা গেছে খুবই হালকা। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার কাজী সাজেদুর রহমান বলেন, ‘কাগজ দিয়ে তৈরি হয়েছে এসব কাপ, প্লেট। আমরা চাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যের ফুড গ্রেড পাত্র। বাইরে যেখানেই আপনি খাদ্য গ্রহণ করুন না কেন সেটা যেন সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত থাকে এবং থাকে পরিবেশবান্ধব। জাতিসংঘের ঘোষিত এসডিজির অন্যতম শর্ত হচ্ছে পরিবেশ সুরক্ষায় শিল্পোৎপাদন। খাদ্যপণ্যের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে স্বাস্থ্যঝুঁকিমুক্ত পণ্য উৎপাদনও অন্যতম শর্ত। বাংলাদেশের শিল্প খাতের অন্যতম সম্ভাবনাময় শিল্প হতে পারে কাগজের তৈরি এই পণ্য।’ অ্যাট আর্থ নামে আরেক স্টলে গিয়ে দেখা গেছে কলেস্টেরলমুক্ত চাল। যে চাল দিয়ে তৈরি ভাত ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী। এসব রোগী ছাড়াও সম্পূর্ণ ফ্যাটমুক্ত এই চাল সবারই স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেবে। স্টলকর্মী মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘শুধু চাল নয়, আমরা খাদ্যপণ্য হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ডালও বাজারজাত করি। যেগুলো মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এর খাদ্য গুণ নিশ্চিত করা।’ মেলায় অংশ নেওয়া দেশের অন্যতম ফাস্টফুড উৎপাদন প্রতিষ্ঠান বাবা রাফি স্টলে গিয়ে দেখা গেছে চমৎকার ডিজাইনে বিশাল পরিসরে থরে থরে সাজানো লোভনীয় খাদ্যসামগ্রী। স্টলকর্মী সজীব জানান, খাদ্যপণ্য উৎপাদনের অন্যতম এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি গ্রাহকের আগ্রহ অনেক। শুরুর দিনেই গ্রাহকদের বসার স্থান দেওয়া যায়নি। এখন গ্রাহকের ভিড় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। সবাই এখানে আগ্রহ নিয়ে আসছেন। মেলায় স্পেন, ইউএসএ, পোল্যান্ড, থাইল্যান্ড, চীন, তুরস্ক, ভারত ও বাংলাদেশের খাদ্যপণ্য, কৃষিজাত উপকরণ উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের খ্যাতনামা প্রায় ১২০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। ১৬০টি স্টল দিয়ে সাজানো হয়েছে এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। যেখানে রয়েছে হরেক রকম খাদ্যপণ্য, পানীয়, কৃষিজাত পণ্য, পোলট্রি পণ্য, বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ, পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ মেশিনারিজ, রাসায়নিক উপকরণসহ নানান নিত্যপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। রয়েছে বিপণনের বিশাল সমাহার। দেশের শিল্প খাতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ভূমিকা তুলে ধরতে এ মেলার আয়োজন করেছে সেমস্ গ্লোবাল। দ্বিতীয় ফুড অ্যান্ড এগ্রো বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০১৭, দ্বিতীয় এগ্রোক্যাম বাংলাদেশ এক্সপো ২০১৭ এবং দ্বিতীয় ইন্টারন্যাশনাল পোলট্রি অ্যান্ড লাইভস্টোক বাংলাদেশ এক্সপো ২০১৭ শীর্ষক এ মেলা আজ শেষ হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর