শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

নিয়ন্ত্রণ ছাড়া নির্বাচন হলে জনপ্রিয়তা দেখা যাবে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারি ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া নির্বাচনে আসুন, জনপ্রিয়তা বোঝা যাবে। বর্তমান সরকার অগণতান্ত্রিক ও একনায়কতান্ত্রিক। তাই নির্বাচনকালীন সময়ে একটি সহায়ক সরকার প্রয়োজন। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। নইলে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।

গতকাল সকালে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ঢাকা মহানগরে ঘোষিত দুই ভাগের আংশিক কমিটির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এ সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সদ্য বিদায়ী মহানগর আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ছিলেন। বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নতুন কমিটির শ্রদ্ধা জানানো উপলক্ষে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে নেতা-কর্মীদের ঢল নামে। তবে পুরো কর্মসূচিই ছিল বিশৃঙ্খলায় ভরপুর। ফুল দেওয়ার সময় নেতা-কর্মীদের ওপর কারও কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। কোনো কোনো সিনিয়র নেতাকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা যায়। দলের মহাসচিব সাধারণত ফুল দিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে নানা ইস্যুতে কথা বলেন। কিন্তু বিশৃঙ্খল অবস্থার কারণে অনুষ্ঠান শেষ করে দলের মহাসচিব মাজার এলাকা ত্যাগ করার উদ্যোগ নেন। অবশ্য পরে মহানগর নেতাদের বিশেষ অনুরোধে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেও ছিল নেতা-কর্মীদের বিশৃঙ্খল অবস্থা। এতে বেগ পেতে হয় সিনিয়র নেতাদের। নতুন কমিটির নেতাদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সিনিয়র সহসভাপতি শামছুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তরের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু ও  সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। ফুল দেওয়ার সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, খায়রুল কবির খোকন, মীর সরাফত আলী সপু, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী, সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাহউদ্দিন ?টুকু, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ নেতাদের দেখা যায়। ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি এম এ কাইয়ুম অনুষ্ঠানে ছিলেন না। কিন্তু তার সমর্থনে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বড় প্রতিকৃতির পাশাপাশি তার রঙিন পোস্টারসহ মিছিল নিয়ে কবর প্রাঙ্গণে আসেন। এক পর্যায়ে এলাকাটি সমাবেশস্থলের রূপ নেয়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাওরাঞ্চলে যাননি কেন— এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন সবখানে গেছেন, যখন দরকার হবে আবারও যাবেন। বিএনপি সবসময় জনগণের পাশেই আছে।  প্রধানমন্ত্রী যাবে বলে আমাদের কোনো টিমকে সেখানে যেতে দিচ্ছে না। আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর