বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা
চলমান রাজনীতি

যুদ্ধাপরাধীর পরিবার ও জামায়াতের ঠাঁই নেই আওয়ামী লীগে

রফিকুল ইসলাম রনি

যুদ্ধাপরাধীর পরিবার ও জামায়াতের ঠাঁই নেই আওয়ামী লীগে

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হ্যাটট্রিক জয়ের লক্ষ্যে আটঘাট বেঁধে মাঠে নামছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এজন্য দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনের পাশাপাশি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সদস্য নবায়ন ও সদস্য সংগ্রহ অভিযানের। দুই মেয়াদে ক্ষমতার সাত বছরে দলের ফরম পূরণের মাধ্যমে কোনো সদস্য সংগ্রহ করেনি আওয়ামী লীগ। ২০১০ সালের ৩০ জানুয়ারি সদস্য সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হলেও নেতাদের ‘ব্যস্ততায়’ তা সম্পন্ন করা হয়নি। আগামী ২০ মে থেকে আবার আনুষ্ঠানিকভাবে দলের সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হচ্ছে। ওই দিন গণভবনে জেলা নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় সূত্রমতে, দীর্ঘ  বিরতির পর এবারে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে বেশ কড়াকড়ি থাকছে। কোনো যুদ্ধাপরাধীর পরিবারের সদস্য এবং জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কোনো পর্যায়ের ব্যক্তি আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবেন না। অন্যদিকে ওয়ার্ড-ইউনিয়ন ও থানা কমিটির সুপারিশক্রমেই কেবল দলের সদস্যপদ লাভ করা যাবে। নবায়ন করতে কোনো সুপারিশ লাগবে না। সূত্রগুলো জানিয়েছে, আগামী ২০ মে মতবিনিময় সভায় জেলার নেতাদের পরামর্শ গ্রহণ করবেন শেখ হাসিনা। ওই অনুষ্ঠানে জেলার নেতাদের হাতে দলের গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র, নির্বাচনী ইশতেহার ও বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবের ভিডিওচিত্র নেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই ভিডিওচিত্র ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানা পর্যায়ের পাড়া-মহল্লা, বাজারে প্রদর্শন করতে হবে। এগুলোর পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন নিয়ে তৈরি করা ভিডিওচিত্রও দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আগামী ২০ মে গণভবনে জেলা নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তাদের কথা শোনা হবে। তৃণমূলের চিত্র জানার চেষ্টা করা হবে। তিনি বলেন, ওই মতবিনিময় সভা থেকে আগামী নির্বাচনের জোর প্রস্তুতির নির্দেশ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্ল্যাহ বলেন, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটসহ নানা কারণে ২০১০ সালের পর সদস্য সংগ্রহের কাজ বন্ধ ছিল। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূলে দলকে আরও বেশি গতিশীল করতে এ অভিযান আবারও শুরু করা হবে। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এবার সদস্য সংগ্রহ অভিযানে দলে অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে কিছুটা কড়াকড়ি থাকছে। কোনো যুদ্ধাপরাধীর পরিবারের সন্তান, জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবেন না। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম আলাপকালে বলেন, বিগত নির্বাচনের আগে নতুন প্রজন্মের যারা ভোটার রয়েছেন তাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের সমর্থক এবং দলকে ভোট দিয়েছেন। দেশের মোট ভোটারের একটি বড় অংশ এই তরুণদের সরাসরি দলে আনার জন্য তাদের সদস্য করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বর্ধিত সভা করছি। সেসব সভায় সদস্য সংগ্রহ করতে বলা হচ্ছে। তবে সভানেত্রী কেন্দ্রীয়ভাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধনের পর তা জোরদার করা হবে।

সর্বশেষ খবর