বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা সদরে একদিনে তিন স্কুলছাত্রী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল বানারীপাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন দুই ছাত্রীর বাবা। আরেক ছাত্রীর বাবা তার মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে শেরেবাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে এ তিন ছাত্রী নিখোঁজ হয়। এরা হলো বানারীপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী স্বর্ণা আক্তার, চাখার ওয়াজেদ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার এবং বানারীপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বৃষ্টি মিস্ত্রী। স্বর্ণা কুন্দিহার গ্রামের অটোরিকশা চালক হেলাল খান, সুমাইয়া একই গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক মিজানুর রহমান এবং বৃষ্টি পৌর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অমল মিস্ত্রীর মেয়ে। পারিবারিক সূত্র জানায়, স্বর্ণা, সুমাইয়া ও বৃষ্টি গত মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় পৌর শহরের বন্দর বাজারের দোলা ম্যাডামের বাসায় প্রাইভেট পড়তে যায়। পড়া শেষে তারা তিনজন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজে না পেয়ে গতকাল স্বর্ণা ও সুমাইয়ার পরিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। অন্যদিকে মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে বরিশাল-বানারীপাড়া সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন নিখোঁজ স্কুলছাত্রী বৃষ্টির বাবা অমল মিস্ত্রী। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেরেবাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
বানারীপাড়া থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, নিখোঁজ তিন ছাত্রীর সন্ধানে তত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তারা স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করেছে নাকি অপহৃত হয়েছে— সে বিষয়ে অবশ্য ওসি স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।
