মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

এয়ারপোর্ট রোডে দৃষ্টিনন্দন ফাইকাস বনসাই

জয়শ্রী ভাদুড়ী

এয়ারপোর্ট রোডে দৃষ্টিনন্দন ফাইকাস বনসাই

পরিচ্ছন্ন প্রশস্ত রাস্তা। ছিমছাম ফুটপাথ ঘেঁষে পরিকল্পিতভাবে লাগানো হয়েছে বাহারি গাছ, লতাপাতা। এর মাঝে মাথা নেড়ে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে ফাইকাস বনসাইয়ের সবুজ কচি পাতা। ইট-পাথরের শহরের বুকে ধূসর শরীর, জড়ানো শিকড় আর ঊর্ধ্বমুখী ডানায় ফাইকাস বনসাই মেলে ধরেছে তার সবুজ সৌন্দর্য। দুপুরের তপ্ত রোদে পথচারীদের মন জুড়ায় এই নির্মলতা। রাজধানীর বনানী ওভারপাস-এয়ারপোর্ট রোডের চিত্র এটি। ঢাকা সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান বলেন, বনানী ওভারপাস টু এয়ারপোর্ট বিউটিফিকেশন প্রকল্পের আওতায় ফুটপাথের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভিনাইল ওয়ার্ল্ডের তত্ত্বাবধানে আধুনিক যাত্রী ছাউনি নির্মাণ, ফুটপাতে আলোক সজ্জা এবং গাছ লাগানো হয়েছে। ফুটপাতকে দৃষ্টি নন্দন করে গড়ে তুলতে এবার চীন থেকে আনা হয়েছে ১২০টি ফাইকাস বনসাই। এই বনসাই গাছগুলোর একেকটির দাম প্রায় দেড় থেকে ২ লাখ টাকা। এই গাছগুলো আনতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। যেসব গাছের বনসাই করা হয় তার মধ্যে ফাইকাস গাছের বনসাই অধিক দৃষ্টিনন্দন হয়ে থাকে। আর এ কারণে অন্য বনসাইয়ের তুলনায় এর দামও একটু বেশি। এই প্রকৌশলী আরও বলেন, গাছগুলোর দামের চেয়ে বেশি খরচ হয়েছে চীন থেকে ফ্রিজার কনটেইনারে এগুলো নিয়ে আসতে। আগে থেকেই ফুটপাতে টব তৈরি করা ছিল। এগুলো নিয়ে এসে পরিচর্যা করে পরিকল্পনা মতো বপন করা হয়েছে। এ গাছগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এগুলো আমাদের দেশের আবহাওয়া উপযোগী। শুধু এই বনসাই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আনা হবে বাহারি পাতার গাছ। সাদা, বেগুনী, লাল, নীল রঙের বেশ কিছু পাতা বাহারি গাছ নিয়ে আসা হচ্ছে। এই গাছগুলোর পাতা সারা বছরই এক রকম রঙিন হয়ে থাকে। দেখলেই যেন মনে হয় রঙিন ফুল ফুটে আছে। এই গাছগুলো এনে পুরো রাস্তাটিকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলা হবে। এই লটে বনসাই আনা হয়েছে পরের লটেই আনা হবে বাহারি পাতার গাছ। দেশের বাইরে থেকে আসা অতিথিদের কাছে বাংলাদেশের দেখা প্রথম রাস্তা হলো বনানী-এয়ারপোর্ট রোড। তাই প্রথম দেখাতেই মানুষের মনে দাগ কেটে যায় সবুজ বাংলার এই খণ্ড চিত্র। শুধু বৃক্ষ রোপণই নয়- ভাস্কর্য, আধুনিক যাত্রী ছাউনি এবং রঙিন আলোকসজ্জায় নয়নাভিরাম হয়ে উঠেছে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। ফুটপাত আধুনিকায়নে প্রতিদিনই সংযোজন হচ্ছে নিত্যনতুন অনুষঙ্গ।

বনানীর যাত্রী ছাউনিতে অপেক্ষা করছিলেন ফজলুর রহমান। ফুটপাত আধুনিকায়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই রাস্তার পাশে আগে ছিল ময়লার ভাগাড়। পাশ দিয়ে গেলে দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চাপতে হতো। কিন্তু এখন দুদণ্ড তাকিয়ে থাকলে শান্তি লাগে। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসার সময় মনে হয় বিশ্বের কোনো উন্নত দেশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর