২৮টি কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন), স্টেরয়েড, অ্যান্টিক্যান্সার ও হরমোনসংক্রান্ত ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে হাই কোর্টের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।

গত ৩ এপ্রিল হাই কোর্ট এক রায়ে ২৮টি কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন  ও সেফালোস্পোরিন), স্টেরয়েড, অ্যান্টিক্যান্সার ও হরমোন-সংক্রান্ত ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে রায়ের কপি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ওষুধ প্রশাসন মহাপরিচালককে পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা রিট আবেদনে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাই কোর্ট ওই রায় দেয়।

যে ২৮ প্রতিষ্ঠানের ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো— অ্যামিকো, এজটেক, বেঙ্গল টেকনো, বেনহাম, সেন্ট্রাল, ডিসেন্ট, ড. টিমস, গ্লোবেক্স, গ্রিনল্যান্ড, ইনোভা, ম্যাক্স ড্রাগস, মেডিমেট ল্যাবরেটরিজ, মডার্ন ফার্মাসিটিক্যালস, মিসটিক ফামাসিটিক্যালস, ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিজ ফার্মাসিটিক্যালস অর্গানিক হেলথকেয়ার, ওয়েস্টার, প্রিমিয়ার, প্রাইম, সীমা, হোয়াইট হর্স, মমতাজ, ইউনিক, ইউনাইটেড কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিটিক্যালস, এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস, টেকনো ড্রাগ লিমেটেড ইউনিট-১, ২ ও ৩। এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এক রায়ে হাইকোর্ট ২০টি কোম্পানির সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন এবং ১৪টি কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন, ননপেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন গ্রুপ) উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল।