ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে র্যাব। গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঝিনাইদহ র্যাব ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিং করে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের প্রধান মুফতি মাহমুদ খান এ ঘোষণা দেন। গতকাল সকাল পৌনে ৯টা থেকে র্যাব আবার অভিযান শুরু করে। ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা বলবৎ ছিল। এ অভিযানে ঢাকা থেকে মিডিয়া উইং প্রধান মুফতি মাহমুদ খান, পরিচালক অপারেশন লে. কর্নেল মাহমুদ, র্যাব-৬-এর কমান্ডিং অফিসার এডিশনাল ডিআইজি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, ঝিনাইদহ র্যাবের অধিনায়ক মেজর মনির আহমেদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। র্যাবের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা আসার পর জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার দুটি সুইসাইডাল ভেস্ট ও একটি অ্যান্টি মাইন বিস্ফোরণ ঘটান। এর পরপরই ‘অভিযান শেষ করা হলো’ বলে মৌখিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে জানানো হয়।
র্যাবের মিডিয়া উইং প্রধান মুফতি মাহমুদ খান, পরিচালক অপারেশন লে. কর্নেল মাহমুদ জানান, ২০১৪ সাল থেকে জঙ্গিরা এ অঞ্চলে সংগঠিত হচ্ছে। নব্য জেএমবির সদস্যরা এ অঞ্চলে কয়েকজন এখনো সক্রিয় আছে। তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও ভেস্ট আছে। ভবিষ্যতে তারা এই বিস্ফোরক কাজে লাগাতে পারে। লিমন নামের এক জঙ্গি সারা দেশে নব্য জেএমবিকে সংগঠিত করছে। গ্রেফতার জঙ্গি প্রান্ত র্যাবকে জানিয়েছে, মহেশপুরে নিহত দুই জঙ্গি আবদুল্লাহ ও তুহিন তার কাছে সুইসাইডাল ভেস্ট সংরক্ষণ করার জন্য জমা রাখে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এগুলো তার কাছে রাখার জন্য বলা হয়েছিল। তিনি জানান, অভিযান শেষ হলেও জঙ্গি সেলিম ও প্রান্তর বাড়ি র্যাব নজরদারিতে রেখেছে।
এর আগে ঝিনাইদহের জঙ্গি আস্তানায় মঙ্গলবার দিনভর অভিযান চালিয়ে দুটি সুইসাইডাল ভেস্ট, পাঁচটি শক্তিশালী বোমা, ১৮টি ডিনামাইট স্টিক, বোমা তৈরির ১৮৬টি সার্কিট ও একটি অ্যান্টি মাইন উদ্ধার করা হয়। এর আগে সোমবার রাতে সেলিম ও প্রান্ত নামে নব্য জেএমবির দুই সদস্যকে র্যাব গ্রেফতার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক চুয়াডাঙা গ্রামে অভিযান চালানো হয়। প্রথম দিকে র্যাব দুটি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেলেও পরে অভিযান চলাকালে পর্যায়ক্রমে আরও তিনটি আস্তানার সন্ধান পায়। দ্বিতীয় দফায় এসব জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তা সমাপ্ত ঘোষণা করা হলো।