শুক্রবার, ১৯ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

৩৩ মামলার আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী বিমানবন্দরে রিসিভ করল এমপিকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ৩৩ মামলার আসামি মোশা বাহিনীর প্রধান মোশারফ হোসেন মোশা এবং ২১ মামলার আসামি বাদলসহ তাদের গ্রুপ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রিসিভ করেছে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীকে। গতকাল সকালে মোশা ও বাদলসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এমপিকে অভ্যর্থনা জানায়। এ নিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলায় বেশ আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত মোশারফ হোসেন মোশা কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার পর থেকেই বেপরোয়া। বর্তমানে রূপগঞ্জের মানুষ মোশা বাহিনীর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। আতঙ্কে রয়েছেন কখন নিরীহ মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নেবে। গত কয়েক দিন আগেও এক বিয়ে অনুষ্ঠানকে ভণ্ডুল করতে  রূপগঞ্জে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী ২১ মামলার আসামি কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান বাদল ও ৪টি হত্যাসহ ৩৩ মামলার আসামি কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মোশা বাহিনীর সদস্য ও বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এতে বিয়েবাড়ির লোকজনসহ সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ছিলেন। রহস্যজনক কারণে এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করছেন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। সফিকুর রহমান বাদল ৩টি হত্যাসহ ২২ মামলার আসামি। দেড় বছর আগে বাদলকে র‌্যাব বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ গ্রেফতার  করে। সন্ত্রাসী বাদলের বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা ও অস্ত্রসহ প্রায় ২২টি মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ শাহজাহান ভূইয়া বলেন, নিজের আধিপত্য ও ক্ষমতা ধরে রাখতে রূপগঞ্জে যুবলীগের কমিটিতে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের রেখেছেন এমপি। যাতে করে দলীয় প্রতিবাদী নেতা-কর্মীদের মামলা-হামলাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেন। রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ আবুল বাশার টুকু বলেন, এমপি ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের দিয়ে যুবলীগ কমিটি গঠন করেছেন। এখন সন্ত্রাসী ছাড়া তার সঙ্গে ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা আর নেই। এসব শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা না হলে রূপগঞ্জের সাধারণ মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন না। কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, সন্ত্রাসীদের দিয়ে জনগণের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করে জোর করে জনগণের ভালোবাসা আদায় করার চেষ্টা যারা করে তারা আসলে বোকা। কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল আউয়াল বলেন, যুবলীগের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটির শীর্ষ দুই পদে এ দুই সন্ত্রাসীকে রাখায় কায়েতপাড়া এলাকার সাধারণ মানুষ বিয়ের অনুষ্ঠান করতে সাহস পর্যন্ত পাচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর