শনিবার, ২০ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা
খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্ত হলেও শিল্প নেই দিনাজপুরে

এ অঞ্চলে শিল্পায়নের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে

——————— মোসাদ্দেক হোসেন

দিনাজপুর প্রতিনিধি

এ অঞ্চলে শিল্পায়নের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে

অর্থনৈতিক উন্নয়নে দিনাজপুরে ব্যবসায়ীদের যেভাবে অবদান রাখার কথা ছিল, নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে সেভাবে রাখতে পারেনি। গড়ে উঠছে না শিল্পায়ন। বেসরকারিভাবে ব্যবসায়ীরা তেমন সহযোগিতা না পাওয়ায় তারাও এগিয়ে আসতে চান না। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে দিনাজপুর চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি ও চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দিনাজপুর টেক্সটাইল মিলস ও সেতাবগঞ্জ চিনিকল সরকারি ব্যবস্থাপনায় গড়ে উঠলেও দিনাজপুর টেক্সটাইল বন্ধ হয়ে গেছে। দিনাজপুরে ধান, আলু, গম, ভুট্টা ছাড়াও আম, লিচু, টমেটো প্রচুর উৎপাদিত হয়। এখানে ফলভিত্তিক কারখানা গড়ে উঠলে উৎপাদনকারী কৃষকরা লাভবান হতেন এবং কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারতেন। তবে ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমিয়ে, সরকারের প্রণোদনা কিংবা বিশেষ সুযোগ-সুবিধাসহ পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে বাজারজাতকরণে দিনাজপুর থেকে অন্যত্র রেলওয়ে পরিবহনে বিশেষ সুবিধা দিলে অনেক ব্যবসায়ী শিল্প গড়তে এগিয়ে আসতে পারেন। মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, এখন বেসরকারি পর্যায়ে পর্যাপ্ত চালকল গড়ে ওঠায় কৃষকের চিন্তা মুক্ত করেছেন ব্যবসায়ীরা। কৃষকদের কথা চিন্তা করে আমদানি-নীতি হওয়া উচিত, যাতে করে উৎপাদনের সময় চাল আমদানি না হয়। তবেই কৃষক ন্যায্য মূল্য পাবেন। তিনি বলেন, কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলতে চলতি মূলধন এবং প্রকল্প ঋণের সুদের হার কমানো প্রয়োজন। পাশাপাশি ১০ বছরের ট্যাক্স হলিডে করা হলে দিনাজপুরে কৃষিভিত্তিক শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠবে। শিল্প-কলকারখানা এখানে গড়ে না ওঠার আরেক কারণ জ্বালানি খরচ। এখানে গ্যাস নেই। আবার নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। জ্বালানি খাতে নেই কোনো সরকারি সুবিধা। দেশের অন্যত্র যদি গ্যাস দিয়ে কারখানায় উৎপাদন হয় এবং একই জিনিস দিনাজপুরে বিদ্যুৎ দিয়ে উৎপাদিত হয়, তাহলে খরচ বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি দূরবর্তী জেলা হওয়ায় বাজারজাতকরণে এর পরিবহন খরচও বাড়বে। আর এ কারণে ব্যাপক সুযোগ-সুবিধাসহ অপার সম্ভাবনা থাকলেও শিল্পায়ন হচ্ছে না।

এ ক্ষেত্রে সরকারকে এ অঞ্চলে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ জোন করে উন্নয়ন যাত্রাকে বেগবান করা যেতে পারে। আর অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ জোন হলে এ অঞ্চলের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে।

 

সর্বশেষ খবর