শনিবার, ২০ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

এক রশিতে ঝুলে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালের মুলাদীর সফিপুর গ্রামে এক রশিতে ঝুলে প্রেমিক জুটি কলেজ শিক্ষার্থী সোহেল (১৯)  ও জান্নাতুল ফেরদৌস টিয়া (১৯) আত্মহত্যা করেছে। গতকাল সকালে ওই গ্রামের ফরিদা বেগমের পরিত্যক্ত ঘরের আড়ায় তাদের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।

জানা গেছে, প্রেমিক সোহেল সফিপুর গ্রামের মৃত দলিল উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে এবং প্রেমিকা টিয়া একই গ্রামের দুলাল বেপারীর মেয়ে। তারা দুজনই উপজেলার সৈয়দ বদরুল কলেজের এইচএসসির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোহেল ও টিয়া প্রাইমারি থেকে মাধ্যমিক এবং সর্বশেষ কলেজেও একসঙ্গে লেখাপড়া করে আসছিল। স্কুল থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এ প্রেম মেনে নিতে পারেনি টিয়ার পরিবার। এ কারণে সোহেল ও টিয়া দুইবার পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উভয় পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে যে যার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে টিয়ার পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা চলে। কিন্তু টিয়ার পিতা কোনোভাবেই বিয়েতে রাজি হননি। এর জের ধরে গতকাল রাতের কোনো এক সময় সোহেল ও টিয়া ঘর থেকে বের হয়ে পরিত্যক্ত ওই ঘরে গিয়ে একই রশিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে গ্রামবাসী ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশ ও উভয়ের পরিবারকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। 

আরেকজনের আত্মহত্যা : একই রাতে মুলাদী উপজেলার ষোলঘর গ্রামে রফিকুল ইসলাম (২৬) নামের এক নিঃসন্তান ব্যক্তি বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ওই গ্রামের শাহজাহান খলিফার ছেলে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রফিক প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে আট বছর সংসার করে। কিন্তু সন্তান না হওয়ায় তাকে তালাক দিয়ে দুই বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ সংসারেও সন্তান না হওয়ায় রাগে ক্ষোভে তিনি বিষপান করেন। রাতেই তাকে উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রফিক মারা যান।

প্রেমিক যুগলের বিষ পান : মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মাদারগঞ্জ উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের  বৈনাফৈর গ্রামে গতকাল ভোররাতে প্রেমিক স্বপন (২২) ও প্রেমিকা স্কুলছাত্রী শিল্পী (১৫) বিষপান করলে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং অপরজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় মাদারগঞ্জ সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। বিষপানে প্রেমিক স্বপন মারা গেছে। জানা গেছে, গজারিয়া গ্রামের রাজমিস্ত্রি যুবক স্বপনের সঙ্গে দুই বছর ধরে প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এম এ পাশার কন্যা পাটাদহ কয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী শিল্পীর মন দেওয়া-নেওয়া চলছিল। প্রেমিকার পরিবার এ সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় তারা পালিয়ে বাড়ির অদূরে নির্জন স্থানে গিয়ে বিষপান করে।

সর্বশেষ খবর