ঢাকার সাভারের এক গৃহবধূকে মাইক্রোবাসে তুলে হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঋণের টাকা শোধ করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন তিনি। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূকে ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে। ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, তিনি স্বামীর সঙ্গে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় থাকেন। স্বামী পেশায় পরিবহন শ্রমিক। গৃহবধূর চাচাতো ভাই জানান, মানিকগঞ্জ থাকা অবস্থায় তার বোন এক দোকান থেকে কেনাকাটা করতেন। ওই দোকানে কয়েক হাজার টাকা বকেয়া ছিল। মঙ্গলবার বকেয়া পরিশোধের জন্য মানিকগঞ্জে তিনি ওই দোকানে যান। দোকানদার তাকে মাইক্রোবাসে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। দোকানি পরিচিত হওয়ায় তিনি প্রস্তাবে রাজি হন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকানদার তাকে কালো রঙের একটি মাইক্রোবাসে তুলে সাভারের উদ্দেশে রওনা হন। পথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে আরও দুজন ওই মাইক্রোতে ওঠেন। এরপর তাঁরা তার বোনের হাত ও মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাভারের লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) পাশের জঙ্গলে ফেলে দিয়ে চলে যান। রাতে টহল পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমজাদুল হক জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ওই গৃহবধূকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।
ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁকে ওসিসিতে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়। সাভার থানা পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল মানিকগঞ্জ হওয়ায় স্বজনদের সেখানকার পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।