শিরোনাম
শুক্রবার, ২৬ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা
জবাবদিহিতা

থানার সেবার মানোন্নয়ন

মো. আছাদুজ্জামান মিয়া

থানার সেবার মানোন্নয়ন

পুলিশি কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু থানায় সেবার মানোন্নয়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। অহেতুক গ্রেফতার এবং মোবাইল গাড়িতে তুলে হয়রানি করা, কার্যবিধি ৫৪ ধারা ও ডিএমপি অর্ডিন্যান্সে গ্রেফতারের ঘটনা কমে আসছে। থানা পর্যায়ে ব্যাপকভিত্তিক ডিজিটাইজেশন কার্যক্রমও চলমান। তদন্ত কার্যক্রমের সুষ্ঠু ও গতিশীল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ক্রিমিনাল ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CDMS)-এর প্রাত্যহিক হালনাগাদ কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে। ডিএমপির সব থানায় পর্যায়ক্রমে স্থাপিত হচ্ছে নারী ও শিশুবান্ধব হেল্প ডেস্ক। থানা পুলিশ যেন কোনো ধরনের জনহয়রানি করতে না পারে তা নিবিড় তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করা হচ্ছে। থানায় কর্মরত সব পুলিশ সদস্য যাতে জনবান্ধব আচরণ করে এবং থানায় আগত নাগরিকরা যেন তাদের প্রাপ্য আইনি সেবা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পেতে পারে তা ঘন ঘন তদারকি ও পুলিশ সদস্যদের মোটিভেশনের মাধ্যমে নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। থানা নিয়মিত পরিদর্শন, মোটিভেশন ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সব সদস্যের মধ্যে টিম স্পিরিট তৈরির লক্ষ্যে বর্তমানে কার্যক্রম চলমান। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ও ইন্সপেক্টর (অপারেশন্স)-এর মধ্যে ন্যূনতম একজন কর্মকর্তা পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত থানায় অবস্থানপূর্বক physical co-ordination, supervision নিশ্চিতের মাধ্যমে থানা এলাকায় কর্তব্যরত মোবাইল পার্টি, পিকেট পার্টি, ফুট পেট্রল, চেকপোস্টসহ বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত অফিসার ও ফোর্সদের কর্মকাণ্ড যথাযথ তদারকি, কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন; কোনো পুলিশ সদস্য যাতে কোনো ধরনের বিধিবহির্ভূত, অনৈতিক ও শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িয়ে না পড়ে তা নিশ্চিতের পাশাপাশি জরুরি অবস্থায় তাত্ক্ষণিক ও তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ ত্বরান্বিত করে থাকেন। অপরাধ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এবং সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্য থেকে একজন কর্মকর্তা পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বিভাগ অধিক্ষেত্রে অবস্থানপূর্বক বিভাগের আওতাধীন ইউনিটসমূহের মোবাইল পার্টি, পিকেট পার্টি, ফুট পেট্রল, চেকপোস্টসহ বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত অফিসার ও ফোর্সদের কর্মকাণ্ড যথাযথ তদারকিকরণ, প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান, কোনো পুলিশ সদস্য যাতে কোনো ধরনের বিধিবহির্ভূত, অনৈতিক ও শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িয়ে না পড়ে তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। অপরাধ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনাররা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের যথাযথ দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করেন।

থানায় সাধারণ ডায়েরি ফরম (জিডি ফরম) সরবরাহ : থানায় সাধারণ ডায়েরি প্রক্রিয়া সহজতরকরণ এবং সাধারণ ডায়েরি করতে নাগরিকদের হয়রান না হওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিটি থানায় নির্দিষ্ট ফরম্যাট অনুযায়ী অটো কার্বনযুক্ত সাধারণ ডায়েরি ফরম বই আকারে সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে সেবাপ্রত্যাশীরা খুব সহজেই থানায় ছাপানো ফরমে সাধারণ ডায়েরি করতে পারছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক নাগরিকদের প্রত্যাশিত সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে যা একটি অনন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

মামলার যথাযথ তদন্ত নিষ্পত্তি ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক উদ্ধারে সাফল্য : ঢাকা মহানগরীতে বিগত কয়েক বছরে সহিংসতায় রুজুকৃত এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলাসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করে দ্রুত ও যথাযথ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিয়মিত মামলার তদন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে অসংখ্য মামলার বস্তুনিষ্ঠ ও মানসম্পন্ন তদন্ত যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) পদ সৃষ্টির মাধ্যমে অপরাধ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ, তদারকি, পর্যালোচনার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিগত যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমান সময়ে অবৈধ অস্ত্র, মাদক, চোরাই গাড়ি উদ্ধার বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

লেখক : কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর