শুক্রবার, ২৬ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা
মোটর শ্রমিকদের নির্বাচন

রাজশাহী বাস টার্মিনাল রণক্ষেত্র, আহত ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এদিন ভোর চারটার দিকে শ্রমিকদের দুপক্ষের সংঘর্ষে নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। তিন নির্বাচন কমিশনার ও সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন সংঘর্ষের সময় আহত হয়েছে।

জানা গেছে, এ সময় অস্ত্র উঁচিয়ে মহড়া দিয়েছে দুপক্ষই। ভাঙচুর করা হয়েছে সাংবাদিকের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন। ছিনতাই করা হয় ব্যালট পেপার। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদত হোসেন খান বলেন, ভোট গণনা শুরুর আগেই শ্রমিকদের একটি পক্ষ কেন্দ্রে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় অপরপক্ষ বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অঙ্কুর সেনসহ তিন কমিশনার আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং তিন নির্বাচন কমিশনারকে উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্যালট পেপার বাছাই শেষ হয় ভোর ৪টার দিকে। এরপর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কারা নির্বাচিত হচ্ছেন তা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। বাছাই শেষে ভোট গণনা শুরু হলে সভাপতি প্রার্থী কামাল হোসেন রবির সমর্থকরা সেখানে হামলা চালিয়ে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী মাহাতাব হোসেন চৌধুরীর সমর্থকরা বাধা দিতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। উভয়পক্ষ ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পুরো টার্মিনাল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় ছবি তুলতে গেলে এটিএন বাংলার রিপোর্টার সুজাউদ্দিন ছোটনকে লাঞ্ছিত করে তার ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ প্রাথমিক পর্যায়ে নিষ্ক্রিয় থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে তারা কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে এ ঘটনার জেরে সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় শ্রমিকদের একটি অংশ। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। প্রসঙ্গত, আগেরদিন রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে সকাল আটটা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১০টি পদে ৬০ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৪৯৫ জন।

সর্বশেষ খবর