পদত্যাগ করেছেন ইসলামী ব্যাংকের দুই স্বতন্ত্র পরিচালক। এ দুজন হচ্ছেন সম্প্রতি ভাইস চেয়ারম্যান পদ হারানো স্বতন্ত্র পরিচালক সৈয়দ আহসানুল আলম এবং ব্যাংকটির ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক আবদুল মাবুদ। মাত্র দুই দিন আগে মঙ্গলবার এ দুই স্বতন্ত্র পরিচালককে নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দুজনই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন বলে ব্যাংকের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জানান, এখন নিয়ম অনুযাযী তাদের পদত্যাগপত্র অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হবে। এর পরই পদত্যাগ কার্যকর হবে। জানা যায়, ব্যাংকটির ৩৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ দুই পরিচালককে নিজ নিজ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি ওঠে। সে মোতাবেক দুজনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তখন চেয়ারম্যান আরাস্তু খান বলেছিলেন, তারা স্বতন্ত্র পরিচালক পদে বহাল থাকবেন। এর আগে ১১ মে সৈয়দ আহসানুল আলম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টের মাধ্যমে জানান, ‘ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে নিয়ে প্লাস-মাইনাসের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তাই পরিচালনা পর্ষদ ও ভাইস চেয়ারম্যানের পদে দায়িত্ব পালন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার সরে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।’ এরপর ১৩ মে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে স্বতন্ত্র এই পরিচালক কয়েকটি গণমাধ্যমকে জানান, জাকাতের ৪৫০ কোটি টাকা ব্যাংকের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীর জাকাত তহবিলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ইফতারের ১৩ কোটি টাকা এবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের সুবিধাভোগীদের তালিকাও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ মে সংবাদ সম্মেলন করে ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরাস্তু খান বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আহসানুল আলম ব্যাংকের গোপনীয়তা ভেঙেছেন। পরিচালক হওয়ার সময় তিনি গোপনীয়তা রক্ষার যে শপথ করেছিলেন, তা লঙ্ঘন করেছেন। ব্যাংক নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন। আমি তাকে পদত্যাগ করতে বলব না, তিনি নিজে সরে গেলে সমস্যা নেই।’ এরপর ২০ মে সৈয়দ আহসানুল আলমসহ সাত পরিচালক স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হুমকির মাধ্যমে কোনো পরিচালককে পদত্যাগ করানোর চেষ্টা করা হলে অনেক পরিচালক একযোগে পদত্যাগ করবেন। এতে স্বাক্ষর করেছিলেন, শেয়ারহোল্ডার পরিচালক আবদুল মতিন, বোরহান উদ্দিন আহমেদ ও কাজী শহিদুল আলম এবং স্বতন্ত্র পরিচালক আবদুল মাবুদ, সাইফুল ইসলাম ও হেলাল আহমেদ চৌধুরী।