মাত্র এক বছরের মাথায় বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলী ফরেস্ট ক্যাম্পের আওতাধীন মাদ্রাসাছিলায় এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। সন্ধ্যায় পাওয়া শেষ খবর অনুযায়ী, আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছিল। এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগুনে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৫ একর বনভূমির ছোট গাছপালা, লতাগুল্ম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বনসংলগ্ন উত্তর রাজাপুর গ্রামের ২০০-৩০০ লোকসহ শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ২৮ মার্চ থেকে শুরু করে চাঁদপাই রেঞ্জে মাত্র এক মাসে চারবার আগুনে কয়েক কোটি টাকার বনজ সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবারও সেই একই এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে বিকাল ৫টায় পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। তিনি এই তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন। চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা এসিএফ মেহেদীজামানকে প্রধান করে গঠিত এই তদন্ত কমিটিতে চাঁদপাই স্টেশন কর্মকর্তা নুরুজ্জামান ও ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে সদস্য করা হয়েছে।
আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত শরণখোলার ধানসাগর ইউপি সদস্য জাকির হোসেন খান জানান, সকাল ১০টার দিকে তারা সুন্দরবনে আগুন লাগার খবর পান। পরে এলাকার ২০০-৩০০ লোক নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। স্থানীয়রা কলস-বালতি নিয়ে মাদ্রাসাছিলায় পাশের খাল থেকে পানি নিয়ে প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান এবং আগুন যাতে সুন্দরবনের ব্যাপক এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য অগ্নিকাণ্ডের চারপাশে ফায়ার লেন কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। দুপুর ২টার দিকে ডিএডি মাসুদ শেখের নেতৃত্বে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তার পর থেকে কোথাও আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছিল। আগুনে ৪-৫ একর বনের ছোট গাছপালা ও লতাগুল্ম পুড়ে গেছে বলে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেওয়া প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান।
