সোমবার, ৫ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঐশীর মামলার রায় আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

পিতামাতাকে হত্যায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ঐশী রহমানের আপিল, জেল আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপরে আজ রায় ঘোষণা করা হবে। গতকাল বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে। এর আগে শুনানি শেষে ৭ মে থেকে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) ছিল। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহুরুল হক জহির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম। ঐশীর পক্ষে ছিলেন আফজাল এইচ খান ও সুজিত চ্যাটার্জি। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার দায়ে এই দম্পতির একমাত্র কন্যা ঐশী রহমানকে ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেয় ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের পরে পলাতক ঐশীকে আশ্রয় দেওয়ায় তার বন্ধু মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার আরেক আসামি আসাদুজ্জামান জনিকে খালাস দেয় আদালত। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর হাই কোর্টে ঐশী আপিল ও জেল আপিল করেন। এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হিসেবেও মামলাটি হাই কোর্টে আসে। বিচারিক আদালতে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে দণ্ড কার্যকরে হাই কোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ‘ডেথ রেফারেন্স’ মামলা হিসেবে পরিচিত। রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে সপরিবারে থাকতেন পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান। ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট ওই বাসা থেকে স্ত্রী স্বপ্না রহমানসহ তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান ওইদিনই পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন ওই নিহত দম্পত্তির মেয়ে ঐশী রহমান গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঐশী ও তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র এবং নিহতদের বাসার শিশু গৃহকর্মী সুমীর বিরুদ্ধে শিশু আইনে পৃথক অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। বিচারিক আদালত ঐশীকে মৃত্যুদণ্ড হয়। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় গৃহকর্মী সুমীর বিচার চলছে শিশু আদালতে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর