মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা
মেঘনায় লঞ্চ ডুবি

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা দেওয়ার রায় বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাঁদপুরের মেঘনা নদীর মোহনায় এমভি নাসরিন-১ লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা দিতে নিম্ন আদালতের রায় উচ্চ আদালতে বহাল রয়েছে। গতকাল বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম এবং বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়। একই সঙ্গে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে এবং আহতদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবেদনকারী ব্লাস্টের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ড. কামাল হোসেন, কামরুল হক সিদ্দিকী ও সুব্রত চৌধুরী। অপরপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, রাফসান আলভী ও ইশরাত হাসান। পরে সুব্রত চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, হাইকোর্ট নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে এবং আহত অবস্থায় বেঁচে থাকা প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা দিতে বলেছে। ২০০৩ সালের ৮ জুলাই চাঁদপুরের মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় এমভি নাসরিন-১ লঞ্চ ডুবিতে নিহত হন ১১০ জন, নিখোঁজ হন ১৯৯। ওই নৌ দুর্ঘটনায় লঞ্চটির মালিকও নিহত হন। এরপর একই বছর চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক লঞ্চ ডুবিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৪০০ জনের তালিকা প্রকাশ করেন। সেই তালিকা অনুযায়ী নৌ-দুর্যোগ ট্রাস্টি বোর্ড নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়। ওই ক্ষতিপূরণ অপ্রতুল দাবি করে ২০০৪ সালে ঢাকার তৃতীয় জেলা জজ আদালতে নিহতদের পরিবারের পক্ষে ক্ষতিপূরণ মামলা করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট(ব্লাস্ট)। মামলায় ২৮ কোটি ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়। মামলায় নিহতের সংখ্যা বলা হয় ১২১ জন। এ মামলা ২০১২ সালে ঢাকার ৭ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে পাঠানো হয়। এ আদালত ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রায় দেয়। রায়ে ৬০ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা দিতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে বিবাদীরা জেরা ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ চেয়ে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন জানান। আদালত এ আবেদন খারিজ করে। এ আদেশের বিরুদ্ধে বিআইডব্লিউটিএ-সহ বিবাদীপক্ষ ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর হাই কোর্টে রিভিশন আবেদন করে। পরে হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বাতিল ও রদ প্রশ্নে রুল জারি করে। ২৪ মে শুনানি শেষে গতকাল রুল খারিজ করে রায় দেয় আদালত।

সর্বশেষ খবর