নির্মম পৈশাচিকতার শিকার হয়েছেন রাজধানীর মুগদার আকলিমা খাতুন (২৩)। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। সাবেক স্বামী ফরিদ মিয়া গত রবিবার রাতে এই পৈশাচিকতা চালান। তিনি আকলিমাকে এভাবে গুরুতর আহত করে শিশু সন্তান ফারজানাকে (২) নিয়ে পালিয়ে যান। জানা গেছে, ঘটনার বেশ পরে গুরুতর অবস্থায় আকলিমাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে মুগদা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল আকলিমার ভাই সোহেল জানান, তারা দক্ষিণ মাণ্ডা কাজীবাড়ি গলির জাকির হোসেনের বাসায় ভাড়া থাকেন। ২০-২৫ দিন আগে আকলিমা ফরিদ মিয়াকে তালাক দেয়। আকলিমা তার সন্তান ফারজানাকে নিয়ে চলে আসেন তাদের (সোহেলদের) কাছে। রবিবার রাত পৌনে ১০ টার দিকে আকলিমা তার মেয়েকে নিয়ে আরেক বোনের বাসা থেকে ফিরছিলেন। পথে মাণ্ডা বালুর মাঠে তার সাবেক স্বামী ফরিদ মিয়া ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার পথরোধ করেন। অস্ত্রের মুখে তিনি আকলিমাকে পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যান। সেখানে একটি কক্ষে আটকে আকলিমার যৌনাঙ্গ ছুরি দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেন। একই সঙ্গে তার ডান স্তন কেটে আলাদা করেন। এরপর শিশুকন্যা ফারজানাকে নিয়ে পালিয়ে যান। এক পর্যায়ে আহত আকলিমার আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন। জানা গেছে, গত ৫ বছর আগে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার সোলজান গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে ফরিদ মিয়ার সঙ্গে আকলিমার বিয়ে হয়েছিল। এ বিষয়ে মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ ফরিদকে আটকের চেষ্টা করছে।
