বুধবার, ১৪ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

আর্থিক প্রতিবেদন চেয়ে দলগুলোকে ইসির চিঠি

নিজস্ব প্রতিদেক

সব পর্যায়ের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্বের অগ্রগতি জানতে চেয়ে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে নারী প্রতিনিধিত্বের অগ্রগতি এবং ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দলের আয়-ব্যয়ের বিবরণী দিতে আলাদা আলাদা চিঠি দিয়েছে ইসি।

ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে দলের সব পর্যায়ের কমিটিতে অন্তত ৩৩ শতাংশ নারীর প্রতিনিধিত্ব রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।  দলগুলো নিবন্ধন নেওয়ার সময় এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। আমরা বিধানটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে দলগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছি। সেই সঙ্গে এ পর্যন্ত অগ্রগতি জানাতে দলগুলোকে অনুরোধ করেছি। গতকাল ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি দলের মহাসচিব/সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এ কর্মকর্তা। আরপিওর ৯০-এর খ-এর খ(২) অনুচ্ছেদে, কেন্দ্রীয় কমিটিসহ রাজনৈতিক দলের সব স্তরের কমিটিতে অন্তত ৩৩ শতাংশ সদস্যপদ নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং এ লক্ষ্যমাত্রা পর্যায়ক্রমে আগামী ২০২০ সাল নাগাদ অর্জন করার কথা বলা হয়েছে। ২০০৮ সালে নিবন্ধন পদ্ধতি চালুর পর ২০২০ সালের মধ্যে পূরণের প্রতিশ্রুতি ইসিকে দিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো। প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত ১৫ শতাংশও নারী সদস্য পূরণ করতে পারেনি বলে জানা গেছে।

আর্থিক প্রতিবেদন ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে : ২০১৬ পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে ৪০টি নিবন্ধিত দলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা জানান, চিঠিতে ২০১৬ সালের অডিট রিপোর্ট রেজিস্টার্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে নিরীক্ষা করে ইসিতে জমা দিতে বলা হয়েছে। দলের মহাসচিব বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রতিবেদনে অডিট কোম্পানি এবং দলের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর বা সিলমোহরসহ নির্ধারিত ছকে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে হবে। পরপর তিন বছর কমিশনে এ প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে ইসির। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আর্থিক বিবরণী জমা দেওয়ার তাগিদ দিলেও প্রধান দলগুলো বরাবরই তা জমা দিতে সময় বাড়াতে বলে। গতবারও আগস্টে আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়া হয়েছে। গত বছর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সব ব্যয় মিটিয়ে ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা দলীয় তহবিলে যোগ করতে পেরেছে। আর বিএনপি গতবারের ধারাবাহিকতায় সোয়া ১৪ লাখ টাকা ঘাটতির কথা জানায় নির্বাচন কমিশনকে।

সর্বশেষ খবর