শিরোনাম
রবিবার, ১৮ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হত্যার অভিযোগ

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে কামাল হোসেন ভোলা ওরফে আলিয়া ভোলা (৪৫) নামে তালিকাভুক্ত এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। নিহত ভোলা শহরের লোকোশেড ফতেহ মোহাম্মদপুর এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। পরিবারের দাবি, টাকা না পেয়ে ভোলাকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল ভোরে উপজেলার পাকশী পেপার মিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির জানান, ভোলা গতকাল ভোরে মাদকসহ কয়েকজন সহযোগী নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। টহলরত পুলিশ তাদের থামতে বললে ভোলা এবং তার সহযোগীরা গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। পরে ভোলাকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়। পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে রিভলবার, গুলি, ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ভোলার ছোট ভাই তসলিম আলী টিটু দাবি করেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ আমার ভাইয়ের কাছে টাকা দাবি করে আসছিল। টাকা না দেওয়ায় ভাইকে হত্যা করেছে পুলিশ। আমার ভাই মাদকের ব্যবসা করতেন। তবে আগের পুলিশ সুপার আলমগীর কবির ভাইকে আত্মসমর্পণ করানোর পর থেকে তিনি এ ব্যবসা করতেন না। থানার কয়েকজন পুলিশ বার বার মাদক ব্যবসা করার জন্য তাগিদ দিচ্ছিল। ভাই আর এ ব্যবসা করবেন বলে জানানোয় এই কাজ করেছে পুলিশ।’ তিনি বলেন, ‘ঈশ্বরদীতে প্রতিটি পয়েন্টে পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলে। আমার ভাই পুলিশের রোষানলের শিকার।’ অন্য ভাই নাঈম হোসেন বলেন, ‘এ হত্যার সঠিক বিচার চাই। পুলিশ আমার ভাইকে টাকা দিয়ে ব্যবসা করতে বলার পরও রাজি না হওয়ায় এমনটি হয়েছে। ঈশ্বরদীতে পুলিশই মাদক ব্যবসায়ীদের টাকা দিয়ে ব্যবসা করাচ্ছে বলে রেকর্ড আছে। আমার ভাইকে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে লোকোশেড এলাকা থেকে আটক করলেও পুলিশ বলছে পাকশী থেকে গ্রেফতার করেছে। তারা সকালে কোর্টে পাঠানোর কথা বললে আমরা থানা থেকে চলে আসি। পরে ভোরে শুনতে পাই তাকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়েছে।’ এ বিষয়ে জানতে বার বার ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল হাইয়ের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ খবর