রবিবার, ১৮ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঢাকা-চট্টগ্রাম দীর্ঘ যানজট, ভোগান্তি

-----খুলনায়ও দুর্বিষহ অবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা ও কুমিল্লা প্রতিনিধি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার টোল প্লাজা থেকে উপজেলার কানড়া পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ যানজট অব্যাহত ছিল। স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা থেকে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। ১০ কিলোমিটার রাস্তা পেরোতে সময় লেগেছে ৫-৬ ঘণ্টা। ঢাকাগামী তিশা পরিবহনের চালক আলী আকবর    জানান, মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল প্লাজায় ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কার্যক্রমে ধীরগতির কারণে দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে কানড়া পর্যন্ত যাজটের সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা সমাধান না করলে ঈদে যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বাড়বে। দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, অতিরিক্ত গাড়ির চাপ আর মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল প্লাজায় লোড স্কেলে সময় লাগায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়।

খুলনায় যানজটে দুর্বিষহ দুর্ভোগ : ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, খুলনা মহানগরীতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করছে। শপিং মলকেন্দ্রিক এলাকায় তৈরি হওয়া যানজট ছড়িয়ে পড়ছে মূল সড়কেও। অনিয়ন্ত্রিত ইজিবাইক-মাহেন্দ্র ও সড়কে অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়িতে যানজট চরমে পৌঁছেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, যানজটে বড় সড়ক থেকে পাড়া-মহল্লার অলিগলিতেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্থবিরতা থাকে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি আর ভ্যাপসা গরমের মধ্যে যানজটের দুর্ভোগে পড়ে নাকাল হচ্ছেন নগরবাসী। পাওয়ার হাউস মোড়, ডাকবাংলা, পিকচার প্যালেস, সামছুর রহমান রোড, খানজাহান আলী রোড, ফুল মার্কেট, শান্তিধামের মোড়, ক্লে রোড, আহসান আহমেদ রোড এলাকায় যানজট নিত্যদিনের নিয়মে পরিণত হয়েছে।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ উজ জামান জানান, সড়কে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যানবাহন ও অনিয়ন্ত্রিত অটোরিকশা-ইজিবাইকই যানজটের প্রধান কারণ। সেই সঙ্গে বেশির ভাগ সড়কে ওয়াসার অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি ও সংস্কারকাজে যানজট আরও বেড়েছে। জানা যায়, মহানগরীর বাড়ি বাড়ি ওয়াসার পানি সরবরাহের জন্য ‘ডিস্ট্রিবিউশন পাইপ নেটওয়ার্ক’ প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে নগরীতে ৬৫০ কিলোমিটার পানির পাইপ বসানোর কাজ চলমান। তবে খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহ জানান, কয়েকটি প্রধান সড়কে ইতিমধ্যে কার্পেটিং করে দেওয়া হয়েছে। বাকি সংস্কারকাজ শিগগিরই শেষ হবে। এদিকে যত্রতত্র পার্কিং, হকার ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করেও শহরকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক) সহকারী কমিশনার সিদ্দিকুর রহমান জানান, যানজট নিরসনে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে। তবে যানবাহনের তুলনায় সড়কগুলো অপেক্ষাকৃত সরু, খোঁড়াখুঁড়িতে বেশির ভাগ ব্যবহারের অনুপযোগী থাকায় যানজট বেড়েছে।

সর্বশেষ খবর