ঈদযাত্রা শুরু না হলেও এরই মধ্যে যানজটে মহাসড়কগুলোতে নাকাল অবস্থা চলছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ রুট ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের মির্জাপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে গতকাল থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ যানজট ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছে।
জানা গেছে, মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাকসহ যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বেশি থাকা, বৃষ্টি, গর্ত, ফিটনেসবিহীন যানবাহন বিকল হওয়া ইত্যাদি কারণে এ পথে যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া চারলেনের কাজ চলমান থাকায় সমস্যা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এ মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ২২ জেলার ৯২টি রুটের অন্তত ১২ থেকে ১৩ হাজার যানবাহন প্রতিদিন চলাচল করছে। সরেজমিন দেখা গেছে, ঈদের সময় এ মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন ও লক্কর-ঝক্কর গাড়ি অবাধে চলছে। এসব গাড়িই বিকল হয়ে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি করছে। উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী এসএ পরিবহনের চালক রফিক খান জানান, সরু রাস্তা আর খানাখন্দের কারণে গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে চালানো যাচ্ছে না। বিনিময় পরিবহনের চালক সোবহান মিয়া জানান, চারলেনের কাজের জন্য দুই পাশে কেটে ফেলায় রাস্তা সরু হয়ে গেছে। যার কারণে গাড়ি চালাতে হচ্ছে ধীরগতিতে। ট্রাফিক পুলিশের মির্জাপুর জোনের পরিদর্শক মো. শাহদাৎ হোসেন জানান, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির কারণে যানবাহনের চাকার ঘর্ষণে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারছে না। মহাসড়কের দেরুয়া রেলক্রসিংয়ের পূর্ব পাশে সৃষ্ট বড় ধরনের একটি গর্তের কারণে মালামালবোঝাই ট্রাকের চালু ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গতি থেমে যাচ্ছে। এতে যানবাহনের দীর্ঘ সারি হয়ে যানজট বাড়ছে। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম জানান, রুটের ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করছে। আজ থেকে মহাসড়কে কোনো ধরনের লেগুনা, সিএনজি, অটোরিকশা চলাচল কঠোর হাতে দমন করা হবে। মহাসড়কের গোড়াই থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রতি এক কিলোমিটারে একটি করে পুলিশের মোবাইল টিমসহ এক হাজার পুলিশের সদস্য কাজ করছে।