মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ দশজনের মৃত্যু

প্রতিদিন ডেস্ক

দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতের ঘটনায় গতকাল ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

ফরিদপুর : গত রবিবার বজ্রপাতে ফরিদপুর জেলায় ৫ জন নিহতের রেশ কাটতে না কাটতেই গতকাল আবারও বজ্রপাতে চার উপজেলায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সালথা উপজেলার গট্রি ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া গ্রামে বজ্রপাতে মারা যান খবির মোল্লার মেয়ে হেলেনা বেগম (৩৫), হেলেনার ছেলে হেলাল (১০) ও একই গ্রামের রহমান খানের ছেলে মিলন  খান (৪০)। হেলেনা বেগম বৃষ্টির সময় ছেলেকে নিয়ে রান্না ঘরে কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মা-ছেলে মারা যান। আর মিলন খান মাঠে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে মারা যান। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া চরভদ্রাসন উপজেলার চরহরিরামপুরে বজ্রপাতে মারা গেছেন কাজল বিশ্বাস (৩৭) নামে এক শ্রমিক। তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। বৃষ্টির সময় কাজল বিশ্বাস মাঠে শ্রমিকের কাজ করছিলেন। এ ছাড়া দুপুরে বজ্রপাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের কবিরপুরের খেয়াঘাট এলাকায় কৃষি শ্রমিক ওমর ফারুক (৪৫) মারা গেছেন। তার বাড়ি নাটোর জেলায়। নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাক জানান, কৃষিকাজ করার সময় ওমর ফারুক মারা যান। এদিকে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের একটি মসজিদে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাজিদপুর মোল্লা বাড়ি মসজিদের ইমাম আওয়াল ফকির (৪০) ও মুসল্লি ফারুক মোল্লা (৩৫)।

কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে বাদশা নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ সময় তার ছোট ভাই রাজা গুরুতর আহত হয়। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ভারত সীমান্ত সংলগ্ন রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সোনাতলা ঠাকুরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, ঠাকুরপাড়া গ্রামের রাজ্জাকের দুই ছেলে রাজা ও বাদশা সকালে স্থানীয় একটি মাঠে ঘাস কাটতে যাওয়ার পর বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাত হলে বড় ভাই বাদশা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এলাকাবাসী আহত অবস্থায় রাজাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেছেন।

ঝালকাঠি : ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম গ্রামে বজ্রপাতে এক কৃষক জাকির হোসেন আকন নিহত হয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের নবগ্রাম গ্রামের গের আলীর ছেলে। দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নবগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর বলেন, বাড়ির পাশের জমিতে কৃষিকাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতের কবলে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ওই কৃষক।

পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর দুমকিতে বজ্রপাতে এক মাদ্রাসা শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বাড়িতে গোসল করতে যাওয়ার পর বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। তার নাম মো. কাদের গাজী (৫০)। তিনি দুমকি উপজেলার পশ্চিম আঙ্গারিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। দুমকি থানার ওসি দিবাকর চন্দ্র দাস জানান, বিকাল ৩টার দিকে মাদ্রাসা শিক্ষক কাদের গাজী গোসল করতে বাড়ির সামনের টিউবওয়েলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি মোবাইলে কথা বলতে থাকেন। এমন সময় বজ্রপাতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর