শনিবার, ২৪ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

শেষ সময়ের কেনাবেচায় ব্যস্ত ঈদবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেষ সময়ের কেনাবেচায় ব্যস্ত ঈদবাজার

নাড়ির টানে গ্রামে ঈদ করতে ঢাকা ছেড়ে দলে দলে ছুটছে মানুষ। কিন্তু যারা ঢাকায় ঈদ করবেন তাদের কেনাকাটায় মুখর রাজধানীর নামিদামি শপিংমল থেকে শুরু করে ফুটপাথ পর্যন্ত।

সরেজমিন বসুন্ধরা শপিং মলে গিয়ে দেখা যায়, ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। দোকানগুলোতে চলছে শেষ  সময়ের বেচাকেনা। ঠেলাঠেলি করে কিনতে হচ্ছে পোশাক। ছেলেদের পোশাকের জন্য ইনফিনিটিতে ছিল জমজমাট ভিড়। পাঞ্জাবি দেখছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান। কেনাকাটার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, বাড়ির সবার কেনাকাটা শেষ। এবার নিজের আর স্ত্রীর কেনাকাটা করতে এসেছি। সারা বছর শার্ট কেনা হয় কিন্তু পাঞ্জাবি খুব একটা কেনা হয় না। সাধারণত ঈদে পাঞ্জাবি কিনে থাকি। তার স্ত্রী ফাহিমা বেগম বলেন, এ বছর মেয়ের পরীক্ষার কারণে ঈদে গ্রামে যেতে পারছি না। তাই শেষ সময়ে কেনাকাটা করতে এসেছি।

পোশাক-পরিচ্ছদের পাশাপাশি প্রযুক্তি পণ্যেও ভিড় বাড়ছে ক্রেতাদের। অনেকেই ঈদে জামা-কাপড় না নিয়ে কিনছেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল নাবিল বলেন, এই ঈদে পোশাক না নিয়ে ল্যাপটপ নিয়েছি। বাসা থেকে যে কোনো একটা নিতে বলা আমি এটাই বেছে নিলাম। জামা-কাপড় তো সারা বছর কেনা হয়ই। তাই প্রয়োজনীয় জিনিসটাই কিনলাম।

এই ঈদের বেচাকেনা কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে অঞ্জনসের বিক্রয় কর্মী বলেন, রোজা শুরুর দিকে তেমন ক্রেতা না থাকলেও পরে বেচাকেনা ভালোই হয়েছে। চাঁদরাত পর্যন্ত চলবে এই বেচাকেনা।

শপিংমলের পাশাপাশি ফুটপাথেও জমজমাট ঈদের কেনাবেচা। ছেলেমেয়েদের পোশাক থেকে শুরু করে বড়দের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনছেন অনেকেই। গুলিস্তানের ফুটপাথ থেকে শার্ট কিনছিলেন রুস্তম আলী। ঈদের পোশাক কি না জানতে চাইলে বলেন, সারা বছর কাজ করি কিন্তু নিজের জন্য কিছুই কেনা হয় না। ঈদের দিন ছেঁড়া জামা পরতে মন চায় না। তাই পাতলা কাপড়ের মধ্যে একটা শার্ট কিনতে এসেছি। পোশাকের সঙ্গে জমজমাট বেচাকেনা চলছে টুপি এবং আতরের। বিভিন্ন বয়সের মানুষ মাথার মাপে এবং পছন্দমতো কিনছিলেন বিভিন্ন ধরনের টুপি। ফার্মগেটের টুপি বিক্রেতা আকবর আলী বলেন, সারা বছর অন্য ব্যবসা করি আর রোজার শুরু থেকে টুপির দোকান দেই। অন্য বছরের মতো এ বছরও বিক্রি ভালোই হয়েছে।

সর্বশেষ খবর