মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

লক্ষ্য নির্বাচন, তৃণমূল নিয়ে এরশাদের আলটিমেটাম

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূল শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটি দ্রুত গঠনের জন্য তিনি আলটিমেটামও দিয়েছেন। চেয়ারম্যানের নির্দেশে দলটির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এরই মধ্যে দায়িত্বশীল নেতাদের এ সংক্রান্ত বার্তা পাঠিয়েছেন।

জানা গেছে, বরিশাল ও ঝালকাঠি জেলা কমিটিকে ২২ জুলাই এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কমিটিকে ৩১ জুলাই নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সম্মেলন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আরও ২৬টি মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-মহানগর নেতাদের। দলটি মনে করে, মাঠ পর্যায়ে সাংগঠনিক শক্তির বিকল্প নেই। তাই নেতা-কর্মীদের সুসংগঠিত করার সর্বাত্মক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সামনে একটাই লক্ষ্য—একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভালো ফল অর্জনের মাধ্যমে পার্টিকে ক্ষমতায় নেওয়া। নির্বাচনের আর দেরি নেই। আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করতে চাই। তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজটি জোরালোভাবে চলবে।’ জাপা মহাসচিব বলেন, ‘৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সংগঠিত করছি। মনোনয়নের জন্য প্রার্থী বাছাই করে প্রাথমিক তালিকা করা হবে। সম্ভাব্য প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের পাশাপাশি মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মতামত নেওয়া হবে। পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদ নিজেই এ কাজটি করবেন। এ ছাড়া ইউএনএ জোটের ভালো প্রার্থী যেখানে আছে, সেখানে ছাড় দেওয়া হবে।’ সূত্র জানায়, জাপার প্রায় ৪০টি জেলায় সাংগঠনিক কমিটির মেয়াদ নেই। দলীয় কোন্দলসহ নানা কারণে সম্মেলনও করা যায়নি। মেয়াদোত্তীর্ণ গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, পিরোজপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুড়িগ্রাম, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙামাটি, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ জেলা এবং খুলনা, সিলেট ও কুমিল্লা মহানগরে দ্রুত সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ বলেন, ‘পার্টিকে সারা দেশেই গোছানো হচ্ছে। তবে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে আমরা শক্তিশালী। জেলা-উপজেলায় নতুন কমিটি গঠনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার মাধ্যমে নেতা-কর্মীরা এখন থেকেই নির্বাচনী মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। কারণ সংগঠন শক্তিশালী না হলে, নেতা-কর্মী সুসংগঠিত না থাকলে যতই যোগ্যপ্রার্থী থাকুক, নির্বাচনে জয়ী হওয়া যাবে না। আমাদের প্রধান লক্ষ্য, জনরায়ে জাতীয় পার্টির জোটকে ক্ষমতায় আনা।’

সর্বশেষ খবর