বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগে তোফায়েল-জ্যাকব-শাওন বিএনপিতে হাফিজ-পার্থ

জুন্নুু রায়হান, ভোলা

আওয়ামী লীগে তোফায়েল-জ্যাকব-শাওন বিএনপিতে হাফিজ-পার্থ

জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও ভোলার চারটি আসনে (সংসদীয় ১১৫, ১১৬, ১১৭ ও ১১৮) প্রার্থীদের তেমন একটা তৎপরতা চোখে পড়ছে না। তবে মন্ত্রী-এমপিদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং স্থানীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কিছুটা প্রাণচাঞ্চল্য আছে। মানুষের ধারণা, ভোলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী অপরিবর্তিত থাকবে। অর্থাৎ গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যারা মনোনয়ন পেয়েছিলেন, তারাই আগামীতে মনোনয়ন পেতে পারেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে নিজ দলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই।

ভোলা-১ (সদর) : ভোলা সদর আসনের এমপি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। আগামী নির্বাচনেও তিনিই দলের প্রার্থী থাকছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের অন্য কারও প্রচার-প্রচারণা নেই। বিএনপি জোটের প্রার্থী হিসেবে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন বিজেপির চেয়ারম্যান সাবেক এমপি ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ। এ ছাড়া বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জেলা সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ গোলাম নবী আলমগীর এবং দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হায়দার আলী লেলিন তৎপরতা চালাচ্ছেন। ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) : এ আসনের এমপি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ভ্রাতুষ্পুত্র আলী আজম মুকুল। তিনিও এখানে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী। গত ২০০৮ সালের নির্বাচনে চার দলীয় জোটের শরিক দল বিজেপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থর ছোট ভাই আশিকুর রহমান শান্ত। ওই নির্বাচনে তোফায়েল আহমেদের কাছে তিনি প্রায় ১৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন। আশিকুর রহমান শান্ত এখন আর বিজেপিতে নেই। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বড় ভাই হাফিজ ইব্রাহিম। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ না পেলে তার স্ত্রী মাফরুজা সুলতানা কিংবা ছেলে ব্যারিস্টার মাহরুফ ইবরাহীম আকাশ প্রার্থী হতে পারেন। ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) : এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান এমপি কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। তবে এ আসনে একই দলের প্রার্থী হিসেবে মেজর (অব.) জসিম উদ্দিনের নামও শোনা যাচ্ছে। এই আসনে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বীরবিক্রম। এখানে আর কোনো প্রার্থীর তৎপরতা নেই। ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) : এ আসনের বর্তমান এমপি পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। এলাকায় তার যথেষ্ট প্রভাব ও জনপ্রিয়তা আছে। সেখানে তার বিকল্প কোনো প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না। জ্যাকব ছাড়া আওয়ামী লীগের অন্য কোনো প্রার্থীর তৎপরতা নেই। এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম। এ ছাড়া এ আসনে প্রার্থী হিসেবে তৎপরতা চালাচ্ছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন। এই দুই নেতাকে ঘিরে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত।

 

আগামীকাল : বরিশালের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর