বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

নির্দোষ দাবি করলেন বাবুল আক্তার

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

নির্দোষ দাবি করলেন বাবুল আক্তার

টানা ৫ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বের হয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন মামলার বাদী ও মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। তা ছাড়া এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে মামলার বিষয়ে আলোচনা করেন বলে জানান তিনি। গতকাল দ্বিতীয়বারের মতো চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কার্যালয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন বাবুল। এ সময় মিতুর বাবা-মার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

সম্প্রতি মিতুর বাবা-মা তাদের মেয়ের হত্যাকাণ্ডের জন্য বাবুল আক্তারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর এ মামলার বিষয়ে সিএমপিতে আসেন বাবুল আক্তার। ওই দিন প্রায় আড়াই ঘণ্টা তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। গতকাল বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাবুল আক্তার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কার্যালয়ে ছিলেন। গতকাল বাবুল আক্তার এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার ডাকে নগরীর লালদীঘির পাড়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে যান বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, মিতু হত্যা মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বাবুল আক্তার মামলার বাদী। কিছু কথা বলার জন্য তাকে ডাকা হয়েছে। তা ছাড়া মামলার বাদী হিসেবে কিছু তথ্য জানতে এবং তদন্তে সহযোগিতা করতে তিনি এসেছেন। স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার বাদী ও সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার আরও বলেন, ‘হত্যা মামলার খোঁজখবর নেওয়ার জন্য চট্টগ্রামে এসেছি। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।’ প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোডে দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, জঙ্গিরা তার স্ত্রীকে খুন করে থাকতে পারে। এরপর গত বছরের ২৪ জুন মধ্যরাতে ঢাকার বনশ্রী এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুল আক্তারকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আবার বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। ৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাবুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর