বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

অনেক প্রশ্ন অজানা রেখেই চার্জশিট শিগগির

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

অনেক প্রশ্ন অজানা রেখেই চার্জশিট শিগগির

নানা প্রশ্নের উত্তর অজানা রেখেই সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট দিচ্ছে পুলিশ। সবকিছু ঠিক থাকলে কয়েক দিনের মধ্যেই দেওয়া হবে আলোচিত এ মামলার চার্জশিট।

নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, এতে সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারীসহ সাতজনকে আসামি করা হচ্ছে। চার্জশিটে এ হত্যাকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ আবু মুছা সিকদার ও কালুকে পলাতক দেখানো হচ্ছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান গতকাল জানান, মামলার তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ মামলার কাজ শেষ হবে।

মামলা তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, মিতু খুনের পর পুলিশের একাধিক সংস্থা আলোচিত এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে কাজ করলেও কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি এ হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ ও আসল নির্দেশদাতার নাম। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য কিলার ভাড়া করা আবু মুছা সিকদার ‘পলাতক’ থাকায় তদন্ত সংস্থা জানতে পারেনি খুনের আসল নির্দেশদাতা ও খুনের কারণ। তাই মুছা সিকদারকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে। চার্জশিটে মুছা সিকদারসহ সাতজনকে আসামি করা হচ্ছে। অন্য আসামিরা হলেন কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নেওয়া আনোয়ার হোসেন, মো. ওয়াসিম, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং পলাতক কালু। অস্ত্র সরবরাহকারী এহতেশাহ হক ওরফে হানিফুল হক ওরফে ভোলা এবং মনির হোসেনকে আসামি করা হচ্ছে। কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত মো. রাশেদ ওরফে ভাগ্নে রাশেদ এবং আবদুল নবীকে চার্জশিটে রাখা হয়নি। এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় রবিন ও গুন্নকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। মামলায় ৭০-৭৫ জনকে সাক্ষী রাখা হচ্ছে। তাদের মধ্যে প্রধানত রয়েছেন বাবুল আক্তারের ছেলে আক্তার মাহমুদ মাহির, ইকুইটি সেন্ট্রিয়াম ভবনের নিরাপত্তা কর্মী আবদুল সাত্তার, আশপাশের কয়েকটা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, লাশের সুরতহাল তৈরিকারী কর্মকর্তা, ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তা। তবে বয়স এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে মাহিরকে শেষ মুহূর্তে মামলার সাক্ষী হিসেবে নাও রাখা হতে পারে। ঘটনার দীর্ঘদিন পর মিতু পরিবারের পক্ষ থেকে বাবুল আক্তারের পরকীয়ার অভিযোগ করা হয়। মিতুর বাবা-মা অভিযোগ করেছেন, বনানী বিনতে বশির বর্ণি এবং ভারতীয় নাগরিক গায়েত্রী সিংয়ের সঙ্গে বাবুলের পরকীয়া ছিল।  অভিযোগের পর এ বিষয়টিও তদন্ত করা হয়। তদন্তে বাবুল আক্তার কিংবা মিতুর কোনো পরকীয়ার সত্যতা পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ জুন নগরীর জিইসির মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনার পর বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন।

সর্বশেষ খবর