সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

মানিকগঞ্জে মসজিদের টয়লেট ভেঙে জমি দখলের অভিযোগ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের আলীনগর বায়তুল আমান জামে মসজিদের টয়লেট ভেঙে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। টয়লেট ভেঙে জমি দখল করায় দুর্ভোগে পড়েছেন মুসল্লিরা। এভাবে জমি দখল হতে পারে আশঙ্কা করে মসজিদের জমিদাতা থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে টয়লেট ভেঙে দখলে নেওয়া জমি নিজের বলে দাবি করেছেন পার্শ্ববর্তী জমির মালিক। মসজিদের জমিদাতা মোহাম্মদ গোলামের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আলীনগর মৌজার আরএস ১৯ দাগের  ২৪ শতাংশ জমি ১০০ বছর ধরে তারা ভোগদখল করে আসছেন। ওই জমির ৪ শতাংশ ২০০১ সালে মসজিদের নামে ওয়াক্ফ করে দেন তিনি। সেখানে একটি পাকা মসজিদ এবং পাকা পায়খানা ও প্রস্রাবখানা নির্মাণ করা হয়।

ওজুর জন্য স্থাপন করা হয় টিউবওয়েল। কিন্তু পার্শ্ববর্তী জমির মালিক বাবুল হোসেন গং ওই জমি নিজেদের দাবি করে দখলের পাঁয়তারা শুরু করেন। এ ব্যাপারে ২২ জুন মোহাম্মদ গোলাম মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি জিডি করেন (নম্বর ১০৫২/১৭)। জিডি করার পর মানিকগঞ্জ সদর থানার এক কর্মকর্তা ঘটানস্থল গিয়ে পরিদর্শন করে আসেন। কিন্তু পরে তিনি আর কোনো পদক্ষেপ নেননি। এদিকে শুক্রবার রাতারাতি বাবুল হোসেন মসজিদের পাকা পায়খানা ও প্রস্রাবখানা ভেঙে ইটের দেয়াল তুলতে থাকেন। মোহাম্মদ গোলাম জানান, জমির বিরোধ সমাধা করতে স্থানীয় চেয়ারম্যান বেশ কয়েকবার নোটিস দিয়ে তাদের ডেকে আনেন। কিন্তু বাবুল হোসেন নোটিস পাওয়ার পরও উপস্থিত হননি। তিনি অভিযোগ করেন, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে বাবুল হোসেন মসজিদসহ তাদের জমি দখল করে নিচ্ছেন। গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, টিনের বেড়া দিয়ে আড়াল করে শ্রমিকরা ইটের গাঁথুনি দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করছেন। তারা জানান, বাবুল হোসেন দেয়াল নির্মাণের জন্য তাদের সঙ্গে চুক্তি করেছেন। মসজিদের পায়খানা ও প্রস্রাবখানা ভেঙে মাটি সমান করে ফেলা হয়েছে। ওই সময় নির্মাণাধীন দেয়ালের ছবি তুলতে গেলে বাধা দেন বাবুল হোসেন ও তার লোকজন। পরে বাবুল হোসেনের সঙ্গে কথা হয় সাংবাদিকদের। তিনি দাবি করেন, ১০০ বছর ধরে তাদের পরিবার ওই জমির মালিক। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, মোহাম্মদ গোলামরাই ভুয়া দলিল দেখিয়ে জমির মালিকানা দাবি করছেন। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মসজিদ কমিটির একাধিক সদস্য ও সাধারণ মুসল্লিরা অভিযোগ করেন, তাদের ওজু করাসহ পায়খানা-প্রস্রাব করতে সমস্যা হচ্ছে। তারা বলেন, মসজিদের জমি নিয়ে বাবুল হোসেন যা করছেন তা ঠিক নয়। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে পারছে না। এ বিষয়ে সদর থানার এসআই মাহমুদুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল তিনি পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু বিষয়টি পুলিশের এখতিয়ারাধীন নয়। তাই তাদের আদালতের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর