হাসপাতালে সেবা নিতে যাওয়া ৪০ শতাংশ নারী হয়রানি বা বাজে ব্যবহারের শিকার হন বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘মানসম্মত গণসেবা’ বিষয়ক আলোচনা সভায় এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন এইড।
নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসনে গৃহীত উদ্যোগের পরিস্থিতি যাচাই করতে খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ এ চারটি সিটি করপোরেশনে জরিপ চালানো হয়। জরিপকৃত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, পরিবহন, বাজার ব্যবস্থাপনা এবং হাসপাতাল।
প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে অ্যাকশন এইডের ম্যানেজার নুজহাত জাবিন বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। ৪০ দশমিক ২ শতাংশ নারী সেবা প্রদানকারীদের কাছ থেকে খারাপ ব্যবহারের শিকার হন। অন্যদিকে ১৫ শতাংশ নারী মনে করেন তারা হাসপাতালে কোনো না কোনোভাবে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আর বাজারে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ বা এ ধরনের ঘটনার শিকার হন ৫০ শতাংশ নারী। জরিপকৃত এলাকার ৩০ শতাংশ নারী জানিয়েছেন থানায় গিয়ে তারা টিজিংয়ের শিকার হন এবং ৩৫ শতাংশ মনে করেন তারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের নীতিমালার মাধ্যমে নারী কাউন্সিলরদের বিশেষ কোনো দিকনির্দেশনা নেই। এ ছাড়া নারীদের আলাদা বসার জায়গা, আলাদা টয়লেট সুবিধা এমনকি মাতৃদুগ্ধপানের আলাদা কোনো স্থান নেই। ফলে এক বছরের নিচে শিশুদের টিকাদানের সময় সমস্যায় পড়তে হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কর্মীরা ইউনিয়ন পরিষদ ও কমিউনিটি ক্লিনিকের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেশিরভাগ ইউনিয়নের সেবা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও কমিউনিটি ক্লিনিকে এমবিবিএস চিকিৎসক নেই। আর থাকলেও তারা নিয়মিত সেবা দেন না সভা পরিচালনা করেন অ্যাকশন এইডের পরিচালক আসগর আলী সাবরি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের চেয়ারম্যান প্রতিমা পাল মজুমদার, এসআরএসের নির্বাহী পরিচালক সেকান্দার আলী মিনা, এনডি বাসের সেক্রেটারি ফাতেমা আক্তার প্রমুখ।