বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

রওশনের জন্য চ্যালেঞ্জ আওয়ামী লীগ আগের অবস্থান ফেরত চায় বিএনপি

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

রওশনের জন্য চ্যালেঞ্জ আওয়ামী লীগ আগের অবস্থান ফেরত চায় বিএনপি

একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ভোটের হাওয়া বইছে দেশের অষ্টম বিভাগ ময়মনসিংহে। নতুন এই বিভাগের চার জেলার রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু ময়মনসিংহ শহর। তাই সবার নজরও ময়মনসিংহ জেলা সদরের দিকেই। এরই মধ্যে সদর আসনে সব দলেরই হেভিওয়েট নেতারা প্রার্থী হিসেবে মাঠে তৎপরতা চালাচ্ছেন। ময়মনসিংহে সংসদীয় আসন (১৪৬, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৫৯, ১৫২, ১৫৩, ১৫৪, ১৫৫ ও ১৫৬) ১১টি। গত নির্বাচনে সদর আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদ। সে সময় আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। জোটের কারণে তাকে আসনটি ছেড়ে দিতে হয় জাতীয় পার্টিকে। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনটি ছাড় দিতে নারাজ আওয়ামী লীগ।

ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিনের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন তার পুত্র জুয়েল আরেং। তিনি আগামী নির্বাচনেও দলের সম্ভাব্য প্রার্থী। এ ছাড়া হালুয়াঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক খানও মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। বিএনপি থেকে ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের নির্বাচন করার সম্ভাবনাই বেশি। এ ছাড়া বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা আফজাল এইচ খান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আজগর ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শিল্পপতি সালমান ওমর রুবেলও মনোনয়নপ্রত্যাশী। জাতীয় পার্টি থেকে জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি সোহরাব উদ্দিন ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হাসান পাপ্পু দলীয় মনোনয়ন পেতে লবিং-তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।

ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) : ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে বিনা প্রতিদ্ব্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের শরীফ আহমেদ। তিনি আগামীতেও মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে সাবেক এমপি হায়াতুর রহমান খান বেলালও মনোনয়ন পেতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন। এ ছাড়া প্রার্থিতার দৌড়ে রয়েছেন ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ লিটন এবং তারাকান্দা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ময়মনসিংহ বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক।

বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার। এ ছাড়া তারাকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন তালুকদার, ফুলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল বাশার আকন্দ, বিএনপি নেতা এনায়েতুর রহমান এবং ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়ের হোসেন শাকিলও প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। জাতীয় পার্টি থেকে পুলিশের সাবেক উপমহাপরিদর্শক জিয়াউদ্দিন মুরাদ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নূর মোহাম্মদ নূরু মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।

ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) : এ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকিরের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দিন আহমেদ। আগামী নির্বাচনেও তিনি দলের প্রার্থী হতে চান। তবে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন  পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক কৃষিবিদ সামিউল আলম লিটনও তৎপরতা চালাচ্ছেন। এছাড়াও নাজনীন আলম, শরীফ হাসান অনু, অধ্যক্ষ আবদুর রফিক এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মতিউর রহমান রয়েছেন প্রার্থী তালিকায়। বিএনপি থেকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম ইকবাল হোসাইন, নূরুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান আহাম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরণ, ড্যাব নেতা মো. আবদুস সেলিম মনোনয়ন পেতে মাঠে রয়েছেন। এ ছাড়া জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জামাল উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।

ময়মনসিংহ-৪ (সদর) : এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জাতীয় সংসদের  বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। তার বিপরীতে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ধর্মমন্ত্রী আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এখনো শক্ত প্রার্থী হিসেবে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ সহকারী প্রয়াত মাহবুবুল হক শাকিলের পিতা জহিরুল হক খোকা, সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব এম এ আজিজও দলীয় মনোনয়নের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে শিল্পপতি আমিনুল হক শামীমও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইতে পারেন। কোন্দলে টালমাটাল বিএনপিতে প্রায় ডজন খানেক নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। এর মধ্যে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ  জেড এম জাহিদ হোসেন। বিএনপির হাইকমান্ড থেকে তাকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ কে এম মোশাররফ হোসেনের কথাও বলছেন কেউ কেউ। তবে তিনি মুক্তাগাছা আসন থেকেই নির্বাচন করতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। এ ছাড়া এ আসনে সংস্কারপন্থির তকমা লাগা সাবেক এমপি দেলোয়ার হোসেন দুলু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহাব আকন্দ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম মো. ওয়ালিদ, শহর বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী ও কাজী রানা দলীয় প্রতীকের প্রত্যাশা করছেন। জেলা জাসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চুন্নু, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি তপন সাহা চৌধুরী, কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) এমদাদুল হক মিল্লাত ও মনিরা বেগম অনু মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা মুফতি শরীফুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মুফতি মোশাররফ হোসেন, খেলাফত মজলিশের মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, খেলাফত আন্দোলনের আজিজুল হক ও জমিয়তে ইসলাম বাংলাদেশ থেকে মুফতি মাহবব উল্লাহও প্রার্থী হতে পারেন। 

ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) : বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ আসনে এমপি হন জাতীয় পার্টির সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি। তিনি আবারও প্রার্থী হওয়ার তৎপরতা চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সাবেক এমপি কে এম খালিদ বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই আকন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বদর উদ্দিন আহমেদ, সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুর স্ত্রী সেলিমা সোবহান খসরু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মো. তারেক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ  কে এম মোশাররফ হোসেন এ আসনে মনোনয়ন পাওয়ার জোর সম্ভাবনা আছে। তবে তিনি সদর আসনে নির্বাচন করলে তার ছোট ভাই জাকির হোসেন বাবলু নির্বাচন করতে পারেন। এ ছাড়া বিএনপি নেতা সাবেক এমপি আবু রেজা ফজলুল হক বাবলুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মতিউর রহমান আকন্দও লড়বেন এ আসন থেকে। জাতীয় পার্টি থেকে জেলা জাতীয় পার্টির নেতা ইঞ্জিনিয়ার এম এ বারীও প্রার্থী হতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।

ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) : ফুলবাড়িয়া কলেজকে সরকারিকরণের দাবিতে এক শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় অনেকটা নাজুক অবস্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের এমপি মোসলেম উদ্দিন। এই ইস্যুটিকে কাজে লাগিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মালেক সরকার মালকিও আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রতীক পেতে তৎপরতা শুরু করেছেন। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক ও তপন সরকার নৌকার মাঝি হতে চাইছেন। বিএনপি থেকে সাবেক এমপি শামসুদ্দিন আহমেদই দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এ ছাড়া তার ভাতিজা আখতারুল আলম ফারুক ধানের শীষ চাইতে তৎপরতা শুরু করেছেন। তবে জামায়াত যদি এবারও বিএনপির কাঁধে ভর করে তাহলে ভাগ্য খুলে যেতে পারে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের। এর আগেও একাধিকবার জামায়াতকে এই আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। জাতীয় পার্টি থেকে এইচ এম এরশাদের উপদেষ্টা কে আর ইসলাম সম্ভাব্য প্রার্থী। তবে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নাজমুল আহসানও লাঙ্গলের হাল ধরতে কেন্দ্রে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। ময়মনসিংহ মহানগর জাসদের সভাপতি এবং কাউন্সিলর সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টুও তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন এ আসনে প্রার্থী হতে।

ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) : স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনটি এখন দলীয় কোন্দলে বিপর্যস্ত। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গত নির্বাচনে লাঙ্গল কাঁধে নিয়ে এমপি হন এম এ হান্নান। যদিও তিনি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কারাগারে রয়েছেন। তার অবর্তমানে এখান থেকে এমপি হতে চাইছেন জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আহমেদ। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে নুরুল আলম পাঠান মিলন, সাবেক এমপি রেজা আলী, সাবেক এমপি হাফেজ রুহুল আমীন মাদানী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিন সরকার ও পৌর মেয়র এ বি এম আনিছুজ্জামান অন্যতম।

বিএনপি থেকে দলের সম্ভাবনাময় প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ত্রিশাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটন গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির আসন ভাগাভাগি হলে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সুজিত বর্মণ মনোনয়ন পেতে পারেন বলে জানা গেছে।

ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) : এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য বর্তমান এমপি ফখরুল ইমাম। আওয়ামী লীগের  সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন, দলের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি আবদুস সাত্তার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন, তারেকুল হাসান তারেক ও সাবেক অতিরিক্ত আইজি আবদুর রহিম। বিএনপি থেকে সাবেক এমপি শাহ নূরুল কবীর শাহীন, লুত্ফুল্লাহেল মাজেদ বাবু ও উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি কামরুজ্জামান লিটনও এমপি প্রার্থী।

ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) : এ আসনে এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান বর্তমান এমপি আনোয়ারুল আবেদীন তুহিন। এ ছাড়া সাবেক এমপি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম, এ ডি এম সালাউদ্দিন হুমায়ুন, মোস্তাফিজুর রহমান খান ও শাহজাহান কবির সুমন মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন সাবেক এমপি খুররম খান চৌধুরী ও সৌদি আরব পূর্ব অঞ্চল বিএনপির সভাপতি শিল্পপতি রফিকুল ইসলাম । জাতীয় পার্টি থেকে উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক তালহা এই আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন চাইবেন।

ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও-পাগলা) : এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জোর দাবি বর্তমান এমপি ফাহমি গোলন্দাজ বাবেলের। এ ছাড়াও সাবেক এমপি ক্যাপ্টেন (অব.) গিয়াস উদ্দিন, স্থানীয় নেতা ব্যবসায়ী ওবায়দুল্লাহ আনোয়ার বুলবুলের নাম শোনা যাচ্ছে। বিএনপি থেকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবি সিদ্দিকুর রহমান, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাচ্চু ও মুশফিকুর রহমান দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। জাতীয় পার্টি থেকে ওলামা পার্টির কেন্দ ীয় কমিটির সভাপতি কারী মো: হাবিবুল্লাহ বেলালী ও উপজেলা সভাপতি মজিবুর রহমান মনোনয়ন চাইবেন।

ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) : ভালুকা আসনের বর্তমান এমপি ডা. আমান উল্লাহ ছাড়াও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা কাজিম উদ্দিন ধনু, এম এ ওয়াহেদ ও ডা. কেবিএম হাদিউজ্জামান সেলিম, আলহাজ এমএ ওয়াহেদ এমবিএ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরা সুলতানা মনি, ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিন দলীয় প্রতীক পেতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি থেকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফখরুদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। জাতীয় পার্টি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী মেজর (অব.) আব্দুল হামিদ।

 

আগামীকাল : নেত্রকোনার সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর