শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

মুনাফার লোভে মাছে ভেজাল নয়

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

প্রতিদিন ডেস্ক

মুনাফার লোভে মাছে ভেজাল নয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল গণভবনের লেকে পোনা মাছ অবমুক্ত করেন —বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মৎস্য সম্পদের বিপুল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে সামান্য মুনাফার লোভে মাছে ভেজাল না দিতে মৎস্য ব্যবসায়ী, প্রক্রিয়াকরণ ও রপ্তানিতে সম্পৃক্তদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষের একটু ভেজাল দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। এ ভেজাল দিয়ে বেশি মুনাফা করতে গিয়ে একেবারে নিজের ব্যবসারও সর্বনাশ। দেশেরও সর্বনাশ। এই সর্বনাশের পথে যেন কেউ না যায়। বিশেষ করে আমাদের মৎস্য ব্যবসায়ীরা।’

বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী গতকাল সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৭ উদযাপন উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দিচ্ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ১৩ জন মৎস্য চাষি এবং প্রতিষ্ঠানকে মৎস্য খাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক প্রদান করেন। এদের মধ্যে চারজন স্বর্ণ এবং নয়জন রৌপ্য পদক লাভ করেন। পদক ও সনদপত্রসহ নগদ ৫০ হাজার এবং ৩০ হাজার টাকার চেকও তাদের দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহমুদুল হাসান খান বক্তৃতা করেন। ১৮ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত এবারের মত্স্য সপ্তাহ উদযাপিত হচ্ছে। মৎস্য সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘মাছ চাষে গড়ব দেশ, বদলে দেব বাংলাদেশ।’ তিনি বলেন, ‘রপ্তানির ক্ষেত্রে সব সময় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যাতে কোনো রকম অভিযোগ যেন আমাদের বিরুদ্ধে না আসে। মাছ চাষ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আমি অনুরোধ করব— সামান্য একটু মুনাফার লোভে নিজের ব্যবসাটাও যেমন নষ্ট করবেন না, তেমনি দেশের রপ্তানি বা পণ্যটাও আপনারা নষ্ট করবেন না।’ বর্তমানে দেশেও মাছের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। আগে একজন রিকশাওয়ালা যেখানে শুধু চাল কিনতে সক্ষম ছিল, সে এখন একটু মাছও সঙ্গে কিনতে পারে। একজন দিন মজুরের সক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জন্য চাহিদাও বাড়বে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যত বাড়বে, আমাদের বাজারও ততটা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেখলাম চিংড়ি রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ থেকে চিংড়ি নেবে না। কেননা, চিংড়ি মাছের মধ্যে লোহা ঢুকিয়ে দিয়ে ওজন বাড়িয়ে সেটা রপ্তানি করা হয়। এটা যখনই ধরা পড়ে সঙ্গে সঙ্গেই চিংড়ি রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বলেন, আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বলে মত্স্য খাতের উন্নয়নের জন্য সেই সময় ৪০ কোটি টাকা এবং একটি কমিটি করে দিই। সেই টাকা দিয়ে প্রত্যেকটি হ্যাচারি উন্নত করা হয়। ধীরে ধীরে মানসম্পন্ন রপ্তানির মধ্য দিয়ে আবার মত্স্য রপ্তানি সচল হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুরোধ করেছিলাম আমাদের কৈ মাছ, মাগুর মাছসহ দেশি মাছের ওপর গবেষণার জন্য। আগে দেখতাম তেলাপিয়া ও কার্প জাতীয় মাছ নিয়েই কেবল গবেষণা চলত। কোন মাছের বাজারে চাহিদা বেশি তা নিয়েই আমাদের গবেষণা করা, উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং প্রক্রিয়াজাত করে তা বিদেশে রপ্তানি করা প্রয়োজন। শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে গণভবনের লেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মাছের পোনা ছেড়ে মত্স্য সপ্তাহ উদযাপনের শুভ সূচনা করেন। তিনি পাট, চা, চামড়ার সঙ্গে মাছকেও বাংলাদেশের রপ্তানিপণ্য হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। মত্স্য সম্পদ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় প্রধান খাত হবে বলে জাতির পিতা আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। তিনি বলেন, আজ দেশের ১ কোটি ৮২ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা মত্স্য সম্পদের সঙ্গে সম্পর্কিত। জিডিপিতে মত্স্য সম্পদের অবদান প্রায় ৪ শতাংশ। প্রাণিজ আমিষের ৬০ ভাগ জোগান দেয় মত্স্য খাত। জাতির পিতার সেই আশাবাদ এখন বাস্তবে পরিণত হতে যাচ্ছে। আবহমানকাল থেকেই ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ বলেই আমাদের পরিচিতি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্ষা মৌসুমের বিশাল প্লাবন ভূমি, যা স্বাদু পানির মাছের প্রধান প্রজনন ও বিচরণ ক্ষেত্র। এ ছাড়াও রয়েছে বিশাল সমুদ্র। এই সমুদ্রে আরও যোগ হয়েছে মিয়ানমার ও ভারতের থেকে আইনি লড়াইয়ে অর্জিত গভীর সমুদ্রের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা। স্বাদু পানি এবং বিশাল এই সমুদ্র এলাকা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তথা মত্স্য আহরণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কৃষিজ আয়ের ২৪ দশমিক ৪১ ভাগ আসে মত্স্য খাত থেকে এবং জিডিপিতে এ খাতের অবদান প্রায় ৩ দশমিক ৬১ ভাগ। তাছাড়া মাছ প্রাণিজ আমিষের ৬০ ভাগ জোগান দেয় ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এ খাতের বিশেষ অবদান উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে তখনই দেশের মত্স্য সম্পদ রক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাই দেশে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় মত্স্য নীতি-১৯৯৮’ প্রণয়ন করি। সে সময় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, জলমহালে সমাজভিত্তিক মাছ চাষ ব্যবস্থাপনা, মাছের আবাসস্থল উন্নয়ন, প্লাবনভূমিতে মত্স্য চাষ ও অভয়াশ্রম স্থাপনসহ অবকাঠামো উন্নয়নে ১০৭ কোটি টাকার ২৬টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করি। চট্টগ্রামে পাহাড়ি জলাশয়সহ সারা দেশে মত্স্য চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। আমরা ৭৯৯টি জলমহাল মত্স্য অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করি। মত্স্য চাষি, মত্স্যজীবী ও উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিই। ভূমিহীন, বেকার ও প্রান্তিক মত্স্যজীবী ও মত্স্য চাষিদের সহজ শর্তে ঋণ দিই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মত্স্য উৎপাদন ও মত্স্য চাষ সম্প্রসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা মত্স্য অধিদফতরকে সম্মানজনক ‘এডওয়ার্ড সওমা’ পুরস্কারে ভূষিত করে। দেশের মত্স্য সম্পদ রক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের পদক্ষেপের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলমহালে সমাজভিত্তিক মাছ চাষ ব্যবস্থাপনা, মত্স্য আবাসস্থল উন্নয়ন, প্লাবনভূমিতে মত্স্য চাষ ও অভয়াশ্রম স্থাপনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ এবং অভ্যন্তরীণ বদ্ধ জলাশয়ে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, গুণগত মানসম্পন্ন মাছের পোনা উৎপাদনের জন্যও যুগোপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারপ্রধান বলেন, নতুন জলমহাল নীতিমালা, মাছ চাষিদের মাঝে মানসম্পন্ন রেণু সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য মত্স্য হ্যাচারি আইন ও মত্স্য হ্যাচারি বিধিমালা, গুণগতমানের মত্স্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য মত্স্য খাদ্য ও পশু খাদ্য আইন এবং মত্স্য খাদ্য বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশি-বিদেশি ভোক্তাদের মানসম্পন্ন চিংড়ি সরবরাহ নিশ্চিতের লক্ষ্যে জাতীয় চিংড়ি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর মত্স্য চাষ ব্যবস্থাপনা ও সম্প্রসারণ এবং প্লাবন ভূমিতে মত্স্য চাষ ও অভয়াশ্রম স্থাপনসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ সরকার মা ইলিশ রক্ষা ও জাটকা নিধন রোধে কার্যকর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত জেলেদের সহায়তা কর্মসূচিতে খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬৯ মেট্রিক টন যা ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ছিল মাত্র ৬ হাজার ৯০৬ মেট্রিক টন। এর ফলে ইলিশ উৎপাদন প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন বৃদ্ধি পেয়ে ৩ লাখ ৮৭ হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা মাছের উৎপাদন ও আহরণ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩৮ লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে, যা ইতিপূর্বে ছিল ৯ লাখ ৭৪ হাজার মেট্রিক টন। ফলে অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে মত্স্য আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারপ্রধান বলেন, যার ফলে ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত মত্স্য সেক্টরে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রায় ৪১ লাখ লোকের বাড়তি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। মত্স্য চাষি ও মত্স্যজীবীদের আয় ৩০ ভাগেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তার সরকার মাছে ফরমালিনের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিংড়ি এবং মত্স্য ও মত্স্যজাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বাস্তবধর্মী ও সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সাভার, চট্টগ্রাম ও খুলনায় তিনটি সর্বাধুনিক মাননিয়ন্ত্রণ ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। চাষিদের রোগমুক্ত চিংড়ি পোনা সরবরাহের জন্য কক্সবাজার, সাতক্ষীরা ও খুলনায় তিনটি পিসিআর ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কক্সবাজারে আরও ১টি ল্যাব প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। তার সরকার নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে যত্নবান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘কেবল পরিমাণগত নয়, প্রতিটি মানুষের পুষ্টিমানসম্মত সুষম খাদ্য প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা হবে’— মর্মে অঙ্গীকার করেছিলাম। এ অঙ্গীকার পালনে ইতিমধ্যে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। ফসল উৎপাদনে আমরা স্বয়ম্ভরতা অর্জন করেছি। প্রাণিজ আমিষের উৎস হিসেবে মত্স্য উৎপাদনেও আমাদের উল্লেখযোগ্য অর্জন সাধিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগরে অর্জিত বিশাল জলসীমার সমস্ত মত্স্য সম্পদ জরিপ ও আহরণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ক্রয় করা হয়েছে ‘আর ভি মীন সন্ধানী’ নামে একটি আধুনিক গবেষণা ও জরিপ জাহাজ। তিনি বলেন, আমরাই প্রথমবারের মতো জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদানের কাজ শুরু করি, যা এখন সফল সমাপ্তির পথে। এ পর্যন্ত ১৬ লাখ ২০ হাজার জেলেকে নিবন্ধনকরণ এবং ১৪ লাখ ২০ হাজার ১২৫ জন জেলেকে পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। ফলে তাদের জন্য প্রদত্ত সরকারের বিভিন্ন সহায়তা ও প্রণোদনা প্রকৃত জেলেদের হাতে পৌঁছে দেওয়া সহজতর হবে।

প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য ও বনাঞ্চল রক্ষা, পানিসম্পদের উন্নয়ন ও নদীতে নাব্য রক্ষার জন্য তার সরকার ইতিমধ্যে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে মধুমতি, গড়াই, যমুনা, বুড়িগঙ্গা, কুশিয়ারা প্রভৃতি নদীতে নাব্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। মধুমতি ও গড়াই নদী খননের ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। লবণাক্ততা হ্রাস পেয়েছে। রক্ষা পাচ্ছে সুন্দরবনসহ আশপাশের জীববৈচিত্র্য।

মত্স্যজীবীদের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মত্স্য সম্পদের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে তার সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বিপন্নপ্রায় মত্স্য প্রজাতির সংরক্ষণ, প্রজনন ও বংশবিস্তারের জন্য মুক্ত জলাশয়ে অভয়াশ্রম স্থাপন ও এর সংরক্ষণে দেশের মত্স্য খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই আরও তৎপর হবেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী গণভবনের লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর