বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিভিন্ন স্থানে আরও ভাঙন, চৌহালীর সড়কে ধস

প্রতিদিন ডেস্ক

বিভিন্ন স্থানে আরও ভাঙন, চৌহালীর  সড়কে ধস

ভারি বর্ষণ না হওয়ায় নদ-নদীর পানি কমছে। ফলে জামালপুর, টাঙ্গাইল, বগুড়া, সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জেলায় নদী ভাঙন তীব্র হয়েছে। গতকাল সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে একটি সংযোগ সড়কের সেতুর উভয় পাশে ২০ মিটার ধসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর— সিরাজগঞ্জ : চৌহালীতে যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের সংযোগ সড়কের ২০ মিটার এলাকায় ধস নেমেছে। ফলে একটি সেতু হুমকির মুখে পড়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, গতকাল খাস কাউলিয়া এলাকায় এ ধস দেখা দেয়। খবর পেয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেকুর রহমানসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয়রা জানান, যমুনার ভাঙন থেকে টাঙ্গাইল-চৌহালী রক্ষায় ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধের মাথায় সংযোগ সড়কে হঠাৎ করে ধস দেখা দেয়। এতে ওই সড়কের উপরিস্থ ব্রিজের উভয়পাশে ধসে গিয়ে অন্তত ১০টি গ্রামের সঙ্গে উপজেলা সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ জানান, চৌহালী নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বাইরে একটি সংযোগ সড়কের সেতুর উভয় পাশে ২০ মিটার ধসে গেছে। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এলাকার মানুষের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে এটি ভেঙে ফেলা হয়নি। মাদারীপুর : পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর পানি কমতে থাকায় মাদারীপুরের শিবচরের তিন ইউনিয়নে নদী ভাঙনের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল পর্যন্ত এ তিন ইউনিয়নের শতাধিক বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। আড়িয়াল খার ভাঙনে সন্ন্যাসীরচরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শতবর্ষী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মসজিদ ভাঙনের মুখে পড়েছে। এ ছাড়া আরও ১৫টি ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে স্কুল, কমিউনিটি ক্লিনিক, সেতুসহ অসংখ্য স্থাপনা। পানির তোড়ে ও তীব্র সে াতের ফলে চরাঞ্চলের কাঁঠালবাড়ী ও চরজানাজাত ইউনিয়নের ৮০টি ঘরবাড়ি নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে রয়েছে চরের চার ইউনিয়নের হাজার হাজার পরিবার। ভাঙনের তীব্রতায় ক্ষতিগ্রস্তরা ঘরবাড়ি গবাদি পশু সরিয়ে নিতেও হিমশিম খাচ্ছেন। কক্সবাজার : উখিয়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়ক উপ-সড়ক লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি তৈরি হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে বাসিন্দাদের মাইলের পর মাইল হেঁটে যাতায়ত করতে হচ্ছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পালংখালী, হলদিয়াপালং, জালিয়াপালং ও রত্নাপালং ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নগুলো নিম্নাঞ্চলীয় এলাকা হওয়ায় বন্যার অধিক শিকার হতে হয়েছে ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর