শিরোনাম
শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

খুলনা সিটিতে শুরু হয়ে গেছে প্রচারণা ও লবিং

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনা সিটিতে শুরু হয়ে গেছে প্রচারণা ও লবিং

মনিরুজ্জামান মনি - তালুকদার আবদুল খালেক

দিনক্ষণ নির্ধারণ না হলেও খুলনা সিটি করপোরেশনে (কেসিসি) বইছে নির্বাচনী হাওয়া। বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাশাপাশি জাতীয় পার্টিও নির্বাচন নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে। প্রার্থিতার জানান দিয়ে প্রচার-প্রচারণা ও কেন্দ্রে লবিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

১৯৯০ সালের ৬ আগস্ট খুলনা সিটি করপোরেশন সৃষ্টির পর থেকে বিএনপি দলীয় মেয়রই বেশির ভাগ সময় নগর পিতার দায়িত্ব পালন করেছেন। এ শহরের নির্বাচিত প্রথম মেয়র বিএনপির তৈয়বুর রহমানের পর ২০০৮ সালে সরাসরি ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক। নগর উন্নয়নে বড় প্রকল্প অনুমোদন ও রাস্তাঘাট সংস্কারে সর্বত্র প্রশংসা অর্জনের পরও ২০১৩ সালের নির্বাচনে হেফাজত ইস্যুতে খেসারত দিতে হয় তাকে। ওই নির্বাচনে প্রায় ৬১ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিএনপির মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির কাছে পরাজিত হন আওয়ামী লীগের এই প্রভাবশালী নেতা।

খুলনা সিটি করপোরেশনের আগামী নির্বাচনে কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নয় আওয়ামী লীগ। গেল ৯ জুলাই খুলনার বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নেতা-কর্মীদের এমনই ইঙ্গিত দিয়ে এখন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে খুলনায় আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে মহানগর আওয়ামী  লীগ সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক এমপি ও প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল আলোচনায় রয়েছেন। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে প্রচারণায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই তরুণ নেতা খুলনা সদর থানা সভাপতি ও খুলনা চেম্বারের পরিচালক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট সরদার আনিছুর রহমান পপলু। তবে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি ও নগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মুশফিকুর রহমান মুশফেকের নিজ নিজ দলের একক প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত। নগরজুড়ে ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে দুর্ভোগ ও উন্নয়ন স্থবিরতায় প্রতিনিয়ত জবাবদিহিতার মুখে পড়তে হচ্ছে বিএনপি দলীয় মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানকে। অবশ্য মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর এক বছরেরও বেশি সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বরখাস্তের খড়গে তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। মনির ভাষায়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না পাওয়া এবং বরাদ্দ করা অর্থ সময়মতো ছাড় না পাওয়ায় নগর উন্নয়নে প্রতিশ্রুত কাজ বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়েছে। নগর পর্যায়ে দলের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নের পাশাপাশি ওয়ার্ড পর্যায়ে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে ইতিমধ্যে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করে চলেছে দলটি। মেয়র নির্বাচন প্রসঙ্গে তালুকদার আবদুল খালেক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি নির্বাচিত সংসদ সদস্য। মেয়র প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা নেই। দলে এখন অনেক যোগ্য তরুণ নেতৃত্ব রয়েছেন।’ অবশ্য তালুকদার খালেকের বিকল্প হিসেবে ক্লিন ইমেজের আরেক প্রার্থী বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েলও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হতে পারেন। পারিবারিক অবস্থানের কারণে দলের তরুণ নেতা-কর্মীদের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা তুঙ্গে। বিশেষ করে ব্যবসায়ী মহলে তিনি স্বচ্ছ ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। প্রসঙ্গত, শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েলের বাবা শেখ আবু নাসেরকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর