শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

নাফ নদে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতিমধ্যেই মিয়ানমারের সীমান্ত সংলগ্ন নাফ নদে কিছু দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। কেননা, এখান থেকেই মাছ ধরা নৌকাতে করে ইয়াবা মাদক পাচার হয়। এ বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে অসংক্রমণ ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিষয়ে ‘বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর এনসিডি কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’র একটি প্রতিনিধি দল গতকাল তার সঙ্গে দেখা করলে তিনি তাদের এ কথা বলেন।

‘বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর এনসিডি কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’র সভাপতি এবং জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল মালিক ১০ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মাদকাসক্তি, হেরোইন, ইয়াবা এগুলোকে প্রতিরোধ করতে হবে। সরকার সেই চেষ্টা চালাচ্ছে। নাফ নদে কিছু দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশে মাদক সেবন এবং মাদক ব্যবসা বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। নিরাময়ের চাইতে রোগ প্রতিষেধনের ওপরও অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরই স্বাস্থ্যসেবার আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন উন্নত যন্ত্রপাতির সন্নিবেশন ঘটায়। বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর এনসিডি কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের সদস্যরা অসংক্রামক রোগ যেমন— হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং মানসিক রোগ নিরাময়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিলে এ বিষয়টি আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে তার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপেরও তথ্য এ সময় তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, কাজী রফিকুল আলম, অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, অধ্যাপক কাজী দিন মোহাম্মদ, ডা. আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক মোল্লা ওবায়দুল্লাহ বাকী এবং অধ্যাপক এ কে এম মহিবুল্লাহ। দুটি প্রকল্পের সংশোধিত নকশা : এর আগে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একনেকে অনুমোদিত ‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন এবং সরকারি কলেজসমূহের বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পের সংশোধিত নকশা উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ছিল প্রস্তাবিত শের-ই-বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (সাবেক নারী শিক্ষা মন্দির) এবং গোপালগঞ্জের শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নকশা। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানাজালা প্রধানমন্ত্রীর সামনে বিদ্যালয় দুটির নকশার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী তা দেখে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন বলে জানান প্রেস সচিব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয় ভবনগুলোতে আলো-বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা এবং টানা বারান্দা থাকতে হবে। এ ছাড়াও জরুরি বহির্গমন ব্যবস্থা, অগ্নিসংকেত ব্যবস্থা রাখতে বলেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর