শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
দুর্নীতি মামলা

রোকেয়ার সাবেক ভিসি ও অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

দুর্নীতির মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক আবদুল জলিল মিয়া এবং বর্তমান অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মণ্ডলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল দুপুরে রংপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ হুমায়ুন কবীর এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী (পিপি) শামীমা আখতার শিরীন জানান, আজ (বৃহস্পবাির) ছিল দুদকের দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেওয়া এবং আসামিদের হাজিরা ও জামিন শুনানির দিন। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার পর মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল জলিল মিয়া ও বর্তমান অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মণ্ডল আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

মামলার অপর তিন আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এটিজিএম গোলাম ফিরোজ, সহকারী রেজিস্ট্রার মোর্শেদ উল আলম রনি ও সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার আশরাফুল আলম আদালতে অনুপস্থিত থাকায় বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। মামলার পরবর্তী তারিখ ২০ আগস্ট ধার্য করা হয়েছে বলে জানান পিপি শামীমা আখতার শিরীন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর দুদক সমন্বিত রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবদুল করিম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুল জলিল মিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। চলতি বছরের ১৯ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক সমন্বিত রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক আকবর আলী ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল জলিল মিয়া তার দায়িত্ব পালনকালে নিয়োগ সংক্রান্ত যাছাই কমিটির সভাপতি হিসেবে এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকা উপ-রেজিস্ট্রার শাহজাহান মণ্ডলের যোগসাজশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই নিজেরা আর্থিক লাভবান হয়ে ৩৪৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেন। এ ছাড়া চাকরিবিধি অনুযায়ী যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও এটিজিএম গোলাম ফিরোজ, মোর্শেদ উল আলম রনি, খন্দকার আশরাফুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এদিকে, দুর্নীতির মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও রবিবার সিন্ডিকেটের সভায় উপ-রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মণ্ডলকে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এটিজিএম গোলাম ফিরোজকে অতিরিক্ত পরিচালক, সহকারী রেজিস্ট্রার মোর্শেদ উল আলম রনিকে উপ-রেজিস্ট্রার এবং সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার আশরাফুল আলমকে উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি ২০১৩ সালের ৪ মে উপাচার্য আবদুল জলিলকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর