শিরোনাম
শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

মোবাইল চুরির অভিযোগে শিশুকে বেঁধে নির্যাতন

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় মোবাইল চুরির অভিযোগে এক শিশুকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে হাসপাতালের কর্মচারীদের সহযোগিতায় পেছনে হাত বেঁধে বেদম মারধর ও হাতুড়িপেটা করা হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে হাসপাতালের লাশ রাখার হিমঘরে তাকে বন্দী করে রাখা হয়। এভাবে বুধবার দিনভর তার ওপর চালানো হয় নির্যাতন। সারা দিনে এক ফোঁটা পানিও কেউ দেয়নি তার মুখে। নির্যাতিত শিশু মো. শুভ (১৩) ঝিনাইদহ জেলা শহরের আরাপপুরের বাদল হোসেন ও নূরজাহান দম্পতির ছেলে। বুধবার রাতে পুলিশ শুভকে উদ্ধার করে। পরে গতকাল তাকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। নির্যাতিত শুভ জানায়, সে এতিম, নানার কাছে থাকে। নানা তাকে কাজের জন্য বকাবকি করলে এক বন্ধুর সঙ্গে মঙ্গলবার বিকালে ঝিনাইদহ থেকে চুয়াডাঙ্গায় আসে সে। কোনো টাকা-পয়সা না থাকায় না খেয়েই চুয়াডাঙ্গা বাস টার্মিনালে রাত কাটায় শুভ। বুধবার সকালে চুয়াডাঙ্গায় ঘোরাফেরার একপর্যায়ে সদর হাসপাতালে যায় সে। বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের এক রোগীর মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে শুভকে আটক করা হয়। এ সময় তাকে বেপরোয়া মারধর করে রোগীর স্বজনেরা। পরে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারীর সহযোগিতায় বহিরাগত কতিপয় ব্যক্তি তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। সাইদ নামের একজন হাতুড়ি দিয়ে তাকে পেটায়। হাসপাতালের ভিতর পিঠমোড়া দিয়ে তার হাত বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়। শুভ রক্তাক্ত জখম হলে বিষয়টি আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে জানানো হয়। কেউ কেউ শুভকে পুলিশে দেওয়ার কথাও জানান। কিন্তু তা না করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতালের লাশ রাখার হিমঘরে বন্দী করে রাখে। ঘণ্টাখানেক পর শুভ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় ওই ঘর থেকে বের করে বারান্দায় সারা দিন তাকে আটকে রাখা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ৩টার দিকে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসারের কক্ষে নেওয়া হলে শুভকে পুলিশে না দিয়ে তিনি নিজে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান এবং পুনরায় ঘরে আটকে রাখতে বলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর