মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ট্রাক থেকে নামানোর সময় আঘাতপ্রাপ্ত হাতি রাজলক্ষ্মী এখন জীবন-মৃত্যর সন্ধিক্ষণে। দুই দিন ধরে শুধু স্যালাইন দিয়ে একে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। মুখ দিয়ে কোনো খাবারই সে খেতে পারছে না। যতই সময় যাচ্ছে তার বেঁচে থাকার আশাও ক্ষীণ হয়ে আসছে।
গতকাল সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ৫নং পুল সংলগ্ন অঞ্জন দেবের বাড়ির জমিতে রাজলক্ষ্মী শুয়ে আছে। তার পেছনের ডান পায়ে স্যালাইন লাগানো। দুই দিনে রাজলক্ষ্মীর শরীরে ২৫টি স্যালাইন দেওয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। আর রাজলক্ষ্মীর পাশে রাখা আছে আরও ১০-১২টি স্যালাইনের প্যাকেট। একটি শেষ হলেই আরেকটি স্যালাইন পুশ করা হচ্ছিল। বারবারই উঠে দাঁড়ানোর প্রাণপণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছিল রাজলক্ষ্মী। হাতির মালিক কমলগঞ্জ উপজেলার কানাইদেশী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাজলক্ষ্মীকে দেড় বছর আগে দৈনিক দুই হাজার টাকায় ভাড়া নিয়েছিলেন সার্কাসের মালিক কাজল মিয়া। ১৪ জুলাই বিশ্রামের জন্য হাতিটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ট্রাকে করে শ্রীমঙ্গল নিয়ে আসা হয়। ওইদিন রাতে হাতিটিকে ট্রাক থেকে নামানোর সময় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ওই রাতের প্রত্যক্ষদর্শী চন্দন বৈদ্য বলেন, ট্রাক থেকে নামানোর সময় হাতির সামনের দুই পা ট্রাকে থাকা অবস্থায়ই গাড়ি টান দিলে হাতিটি মাটিতে পড়ে যায়।
সকালে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে অঞ্জন দেবের বাড়ির জমিতে গিয়ে পড়ে যায়। আজ ছয় দিন হলো সে আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি। শ্রীমঙ্গল উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, স্যালাইন চলছে। হাতিটি মেরুদণ্ডের হারে আঘাত পেয়েছে। সাধারণত প্রাণী এসব আঘাতে বাঁচে না। আমরা বাঁচিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।