শিরোনাম
শনিবার, ২২ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

অবৈধ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তির দায় নেবে না ইউজিসি

গণবিজ্ঞপ্তি জারি

আকতারুজ্জামান

সরকারের অনুমোদন না নিয়ে পরিচালিত কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বা প্রোগ্রামে ছাত্রছাত্রী ভর্তি হলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর দায় নেবে না। অননুমোদিত ক্যাম্পাস বা অননুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হয়ে প্রতারণার শিকার হলে, এমনকি অবৈধ ক্যাম্পাসে ভর্তি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেলেও এ ব্যাপারে ইউজিসির কিছুই করার থাকবে না। শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে এ সম্পর্কিত এক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে মঞ্জুরি কমিশন। ইতিমধ্যে তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা নিয়েছে ইউজিসি।

প্রতিবছর এইচএসসি পরীক্ষার পর ইউজিসি এমন সতর্ক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কারণ পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরপরই অনেক বিশ্ববিদ্যালয় নানা মুখরোচক বিজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষার্থী টানতে চেষ্টা করে। রঙ-বেরঙের চটকদার বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে অনেক অননুমোদিত প্রোগ্রামে ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হয়ে বিপাকে পড়েন। মঞ্জুরি কমিশন বলছে— দেশে বর্তমানে ৯৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইউজিসির অনুমতি নিয়ে ৮৯টি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ ও নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অননুমোদিত ক্যাম্পাস এবং অননুমোদিত প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে অবৈধ প্রোগ্রাম বন্ধ করার জন্য কমিশন থেকে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ ছাড়া কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের নিষেধাজ্ঞার ওপর আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এ ছাড়া কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাস্টি বোর্ড, মালিকানা নিয়ে রয়েছে দ্বন্দ্ব। শিক্ষার্থীরা এসব ক্যাম্পাসে ভর্তি হয়ে বিপাকে পড়েন। তাই বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাস এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি। শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের কমিশনের ওয়েবসাইট (www.ugc.gov.bd) দেখে অনুমোদিত ক্যাম্পাসের অনুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তির কথা বলা হয়েছে। কারণ হিসেবে ইউজিসি সূত্র বলছে— বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে লাখ লাখ টাকা প্রয়োজন হয়। এত টাকা খরচ করে কোনো শিক্ষার্থী যাতে অনুমোদন না থাকা বা অবৈধ কোনো প্রোগ্রামে ভর্তি না হয় এ জন্যই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। কোনো ছাত্র বা ছাত্রী যাতে বিপত্তির শিকার না হয় এটাই এ গণবিজ্ঞপ্তির উদ্দেশ্য।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ছাত্রছাত্রীরা অননুমোদিত ক্যাম্পাসে ভর্তি হলে সরকার বা ইউজিসি তার দায়  নেবে না। বৈধ ও অনুমোদিত ক্যাম্পাসে ভর্তি হতে নির্দেশনা দিচ্ছি যাতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা প্রতারণার শিকার না হন। কিছু ক্যাম্পাস আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এই ক্যাম্পাসগুলোর চূড়ান্ত রায়ে যদি বন্ধ ঘোষণা করা হয় তখন এই ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীরা কোথায় যাবে? তাদের তখন দারুল ইহসানের মতো পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। তাই এখন থেকেই শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে হবে।

সর্বশেষ খবর