শনিবার, ২২ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
বাজার দর

গরুর মাংস স্থিতিশীল দাম কমেছে চালের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদুল ফিতরের আগে আমদানি করা চায়না রসুনের দাম কেজি ৩৫০ টাকা ছিল। সেই রসুন দাম কমে গতকাল বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। রাজধানীর বাজারগুলোতে আমদানি করা রসুন এখন ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গরুর মাংসের দাম রয়েছে স্থিতিশীল। স্থানভেদে ও মানভেদে গরুর মাংস ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দাম কমলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। মোটা চালের দামও কমতে শুরু করেছে। গতকাল  মোটা চাল কেজিতে এক থেকে দুই টাকা কমেছে। কাঁচা সবজি হিসেবে পরিচিত পটোল, করলা, ঢেঁড়স, ধুন্দল, ঝিঙ্গা প্রতিটি সবজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকার বেশি কেজি দরে। আর বাজারে আসা নতুন সবজি শিম, ফুলকপির দাম নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে। রাজধানীর বারিধারা ও মিরপুর বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রায় দুই মাস ধরেই পটোল, ঝিঙ্গা, ধুন্দল, করলা, ঢেঁড়সসহ প্রায় সব সবজির দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকার ওপরে রয়েছে।

বাজার ও মান ভেদে প্রতিকেজি পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। ঝিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। ধুন্দল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। করলা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা। বাজারে আসা নতুন সবজি শিম প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। আর ছোট আকারের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায় প্রতিটি। গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুন গতকালও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ঈদুল ফিতরের আগে রাজধানীর বাজারে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি দরে উঠে যাওয়া গরুর মাংস গতকালও একই দামে বিক্রি হয়েছে। অবশ্য কোথাও কোথাও ৫৫০ টাকা কেজি দরেও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সাদা ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহেও ছিল ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। লাল কক মুরগি আগের সপ্তাহের মতোই ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বারিধারা বাজারের পিয়াজ, রসুনের বিক্রেতা জামাল মিয়া বলেন, একটু নিম্নমানের দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমদানি করা রসুনের দাম কমে যাওয়ার কারণে দেশি রসুনের বিক্রি কমে গেছে।  বেশিরভাগ ক্রেতা এখন আমদানি করা রসুনই কিনছে।  মিরপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বেশির ভাগ সবজির দাম আগে যা ছিল এখনো তাই রয়েছে। ছোট আকারের ফুলকপি গত সপ্তাহের মতো গতকাল ৩০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ মাছের সরবরাহ বেড়েছে। দামও সহনীয়। এক কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১২০০ টাকায়। ৮৫০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের একজোড়া ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৬০০ টাকায়। এ ছাড়া রুই (বড়) ৩০০, কাতল-২৮০, বাইলা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। কৈ-এক কুড়ি ২০০, পাবদা ৬০০ ও রূপচাদা ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর