রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

জ্বালানি মহাপরিকল্পনা দিল তেল-গ্যাস কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্বালানি খাতে সরকারের গৃহীত ২০১৬ সালের মহাপরিকল্পনাকে ব্যয়বহুল, আমদানি নির্ভর এবং পরিবেশের জন্য ধ্বংসাত্মক বলে মন্তব্য করেছেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটির কেন্দ্রীয় নেতারা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় কমিটির আয়োজনে ‘জনস্বার্থে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (২০১৭-২০৫০)’-এর প্রস্তাবিত খসড়া রূপরেখা উপস্থাপনের সময় নেতারা এসব কথা বলেন। এ জন্য এই কমিটি জ্বালানি খাতের জন্য আরেকটি বিকল্প মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। যেখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সদস্য সচিব আনু মোহাম্মদ বলেন, সরকার যদি কমিটির প্রস্তাবিত জ্বালানি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করে তবে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৯১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটে পৌঁছাবে। আর নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর এই পরিকল্পনাটি বেশ সাশ্রয়ীও।

আনু মুহাম্মদ বলেন, বর্তমানে সরকার জ্বালানি খাতের জন্য যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তার বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে যে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে খুব বেশি ক্ষতিকর কয়লার ব্যবহার করা হবে এবং প্রক্রিয়াটি ব্যয়বহুল প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। তার মতে, স্পষ্টভাবেই সরকার খুব ব্যয়বহুল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে আর বিভিন্ন গোষ্ঠীর স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ জ্বালানিতে ভবিষ্যতে আমদানি নির্ভর একটি দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। সরকার তার মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের আগে ভূ-প্রকৃতি, জনবসতি, সম্পদের আপেক্ষিক অবস্থান, জাতীয় সক্ষমতা, পরিবেশগত ঝুঁকি এবং জনস্বার্থের প্রশ্নগুলোও সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে। এই জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেন, যদি সরকার জাতীয় কমিটির খসড়া মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করে তবে ২০৪১ সালে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের প্রকৃত মূল্য দাঁড়াবে ৫ টাকা ১০ পয়সা। যা সরকারের মহাপরিকল্পনায় উল্লিখিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের চেয়ে কম।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাম মোর্চার সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর