বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

সিটিসেলকে তরঙ্গ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের প্রথম বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের তরঙ্গ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফেরত দিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে সিটিসেলের লাইসেন্স পুনর্বহালেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিটিআরসির বিরুদ্ধে সিটিসেলের আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি করে গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির  বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। বিটিআরসির পাওনা পরিশোধে ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২০ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আংশিক দেনা শোধের পর আদালতের নির্দেশে পরে সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হলেও সম্প্রতি তা আবার বন্ধ করে  দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিটিআরসির বিরুদ্ধে আদালত অবমানানার অভিযোগ আনে সিটিসেল। সে বিষয়ে শুনানি করে  ৬ আগস্ট আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে। আদালতে সিটিসেলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আহসানুল করিম। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, কামরুল হক সিদ্দিকী ও খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। জানা গেছে, গত বছরের ৩ নভেম্বর সিটিসেলকে তরঙ্গ বরাদ্দ দিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ। কার্যক্রম শুরু করতে সিটিসেলের করা আবেদনের নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। সিটিসেলের কাছে বিটিআরসির পাওনা ৪৭৭ কোটি টাকা বলা হলেও ওইদিন বিটিআরসির পক্ষ থেকে আদালতে পাওনা কমিয়ে ৩৯৭ কোটি টাকার কথা বলা হয়। এর আগে ২০ অক্টোবর পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বিটিআরসি)। বিটিআরসির এ সিদ্ধান্ত স্থগিত বা পুনরায় তরঙ্গ বরাদ্দের নির্দেশনা চেয়ে ২৪ অক্টোবর আপিল বিভাগে আবেদন করে সিটিসেল। ২৫ অক্টোবর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত সিটিসেলের আবেদন শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আসে। গত বছরের ১৭ আগস্ট একমাসের শোকজ নোটিস দিয়ে সিটিসেলকে বিটিআরসি চিঠি দেয়। ৪৭৭ কোটি টাকা রাজস্ব বকেয়া থাকা সিটিসেল গ্রাহকদের প্রথমে ১৬ আগস্ট ও পরবর্তীতে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত বিকল্প সেবা গ্রহণের পরামর্শ  দেওয়া হয়। ২৩ আগস্ট সিটিসেলের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অর্থাৎ, অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে সিটিসেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২২ আগস্ট হাই কোর্ট বিটিআরসির পক্ষ থেকে সিটিসেলকে দেওয়া  শোকজ নোটিসের সময় পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এ সময়ের মধ্যে বিটিআরসি সিটিসেলের কার্যক্রমে বাধা দিতে পারবে না বলে আদেশে বলা হয়। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় বিটিআরসি।

সর্বশেষ খবর