শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
পানির নিচে সাড়ে ১০ হাজার ঘের

বাগেরহাটে ভেসে গেছে শত কোটি টাকার মাছ

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে ভেসে গেছে বাগেরহাটের ১০ হাজার ৬৫০টি মত্স্য ঘেরের শত কোটি টাকার মাছ। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আরও কয়েক হাজার চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘের ভেসে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন মত্স্য চাষিরা। জেলা মত্স্য বিভাগ বলছে, এ পর্যন্ত প্রাথমিক হিসাবে দেশের রপ্তানি পণ্য গলদা, বাগদা চিংড়ি ও সাদা মাছের প্রায় ৫৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারের পানির চাপে চিতলমারী উপজেলার ডুমুরিয়া এলাকার চিত্রা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে এ ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে কয়েক হাজার মাছ চাষি সর্বশান্ত হয়েছে। সূত্রটি আরও জানিয়েছে, কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের পানি ঢুকে চিংড়ি ঘেরগুলোতে পানি থৈ-থৈ করছে। চিতলমারী উপজেলার ডুমুরিয়া, কালশিরা, শ্রীরামপুর ও ভেন্নাগাতিসহ ৭টি গ্রাম এবং রামপাল উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ১০ হাজার ৬৫০টি মাছের ঘের। এতে করে মাছ চাষিদের হিসাবে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। অধিকাংশ চাষি ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করে পুঁজি হারিয়েছেন। জানা গেছে, এ অবস্থার মধ্যে উৎপাদিত মাছ রক্ষায় চিংড়ি চাষিরা তাদের ঘেরের বাঁধ মেরামত করছেন। অনেকে বাঁধের ওপর নেট দিয়ে মাছ আটকানোর চেষ্টা করছেন। আবার অনেকে ‘নেট জাল কেনারও পয়সা নেই’ বলে কিছুই করতে পারছেন না। বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত মত্স্য কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, দেশের রপ্তানি পণ্য গলদা ও বাগদা চিংড়ি চাষের অর্ধেকই উৎপাদন হয় বাগেরহাট জেলায়। কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে চিতলমারী এবং রামপালসহ বিভিন্ন এলাকার মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আরও ঘের তলিয়ে আর্থিক ক্ষতি বেড়ে যাবে। এতে করে সাদা সোনাখ্যাত গলদা ও বাগদা চিংড়ি বিদেশে রপ্তনির পরিমাণ অর্ধেকে নেমে আসার আশঙ্কা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর