শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

রাজশাহী সিটি মেয়রের সভায় মারামারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভায় কাউন্সিলর ও কর্মচারীদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই নারী কাউন্সিলরসহ উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছেন। গতকাল বিকাল ৫টার দিকে নগর ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, অস্থায়ী কর্মচারীদের চলমান ১১ দফা আন্দোলনের জের ধরে এই মারামারির ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তিনজন মেয়রের পক্ষের এবং অন্য তিনজন কর্মচারী ইউনিয়নের। মেয়র পক্ষের আহতরা হলেন মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী মো. টুটুল, রাসিকের ২৫, ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর নুরুন্নাহার বেগম এবং ৭, ৮ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মুসলিমা বেগম বেলী। কর্মচারী ইউনিয়নের আহতরা হলেন সংগঠনের উপদেষ্টা সুমন হোসেন ও জালাল উদ্দিন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম লাবু। তাদের সবাইকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়র পক্ষের তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে, কর্মচারী ইউনিয়নের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বিকালে মেয়র বুলবুল নগর ভবনের নিচতলায় নিজের অনুসারী কাউন্সিলর ও স্থায়ী কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন। এ সময় মারপিট শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে মেয়র বুলবুল রাসিকের কর্মচারী ইউনিয়নকে বাতিল ঘোষণা করেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘অস্থায়ী কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে আমি স্থায়ী কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলাম। এতেই শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা হামলা চালান।’ এ হামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও দাবি করেন মেয়র। তবে রাসিকের কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আজমীর আহমেদ মামুন বলেছেন, ওই সভায় ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল হামিদ সরকার টেকন আন্দোলনকারী শ্রমিকদের ‘জঙ্গির’ সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেছেন, কর্মচারীদের এ আন্দোলন জঙ্গিদের মতো। তার এ কথারই প্রতিবাদ করেছিলেন ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম লাবু। একপর্যায়ে কাউন্সিলর টেকনসহ মেয়রের অনুসারী অন্য কাউন্সিলর ও কর্মচারীরা অস্থায়ী কর্মচারীদের মারপিট শুরু করেন।

সর্বশেষ খবর