শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

শ্যালিকাকে হত্যা ও স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করার পর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

শ্যালিকাকে কুপিয়ে হত্যার পর স্ত্রীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সজিব নামে এক ব্যক্তি। বরিশাল নগরীর কাউনিয়া পুরানপাড়া স্কুল এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতের যে কোনো এক সময় লোমহর্ষক এসব ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতাবস্থায় স্ত্রী সুমাইয়া বেগমকে শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত শিশুর নাম সাদিয়া আক্তার (৬) এবং আত্মহত্যাকারী যুবকের নাম সজিব হোসেন (২৯)। সজিব পেশায় একজন ভ্যানচালক এবং তার স্ত্রী সুমাইয়া বরিশাল টেক্সটাইল মিলের শ্রমিক। সজিবের বাড়ি জেলার উজিরপুর উপজেলার উত্তর ধামুরা এলাকায়। শ্বশুরবাড়িও একই গ্রামে। সজিবের শ্বশুরের পরিবার কাউনিয়া পুরানপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে। পারিবারিক সূত্র ও পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতের খাবার না খেয়ে সজিব স্ত্রী সুমাইয়া ও শিশু শ্যালিকা সাদিয়াকে নিয়ে ঘরের পাশে বাগানে যায়। গভীর রাত পর্যন্ত তারা বাসায় ফিরে না আসায় তার শাশুড়ি পারুল বেগম তাদের খোঁজ করতে বাইরে যায়। ফিরে এসে দেখেন শিশু সাদিয়ার লাশ পুকুরে ভাসছে এবং পুকুর পাড়ে চালতে গাছের সঙ্গে ঝুলছে জামাই সজিবের লাশ। এ সময় সুমাইয়াকে পুকুরের ঘাটলায় আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে সুমাইয়া পুলিশকে জানায় স্বামী সজিব তাদের দুই বোনকে ঘরের বাইরে ডেকে নিয়ে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে সে তাকে (সুমাইয়াকে) কুপিয়ে আহত করে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হয় শিশু সাদিয়া। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সাদিয়ার লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়ার পর সজিব গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

সর্বশেষ খবর