বুধবার, ২ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

পরাগ অপহরণে অভিযুক্ত আমির বন্দুকযুদ্ধে নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কেরানীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্ত্রাসী আমির ওরফে ল্যাংড়া আমির নিহত হয়েছেন। সোমবার রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগে বন্দুকযুদ্ধে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, আমিরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি পিস্তল ও দুটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জের চাঞ্চল্যকর শিশু পরাগ মণ্ডলকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত এই আমির ২০১২ সালের ২৩ নভেম্বর টঙ্গীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল পুলিশ। অথচ হাসপাতালে আনার পর বেঁচে ওঠে সে। এর আগে, ১১ নভেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা এলাকায় মা, বোন ও গাড়িচালককে গুলি করে শিশু পরাগকে অপহরণ করেছিল আমির।

এরপরই সন্ত্রাসী হিসেবে আলোচনায় আসে আমির। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে হলেও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকার বাড়িতে সে থাকতো। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পশ্চিমপাড়া এলাকায় একসময় জমির ব্যবসা ও দালালি করতো সন্ত্রাসী আমির। পুলিশ বলছে, পরাগ অপহরণ ছাড়াও আমিরের বিরুদ্ধে খুন ও চাঁদাবাজীর ১৪টি মামলা ছিল।

গতকাল দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ্ মিজান শাফিউর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সোমবার বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে আমিরকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তার ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি মীরেরবাগ এলাকায় রয়েছে। পরে আমিরকে নিয়ে পুলিশ ওই এলাকায় যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে আমির মারা যায়। এসপি আরো বলেন, গত ২২ মার্চ চিকিৎসক দম্পতি আবু নোমান ও শাহানা নোমানের রিকশা থামিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আমির। চলে যাওয়ার সময় তাদের বহনকারী রিকশাচালকের পায়ে গুলি করে। ২২ মে জিয়ানগরের ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম এবং ৭ জুলাই হাসনাবাদের ব্যবসায়ী শাহ আলমকে চাঁদার দাবিতে গুলি করে। পরে এ ঘটনায় আমিরের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, আমির ঠিকমতো হাঁটতে পারতো না। যার কারণে ‘ল্যাংড়া আমির’ নামে পরিচিত হয়ে উঠে সে। চাঁদাবাজি, হত্যা, অপহরণের ঘটনায় আমির কেরানীগঞ্জের ত্রাস হিসেবে পরিচিত লাভ করে। তার হাতে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পুলিশ জানায়, গ্রেফতার হওয়ার পর গত বছরের ১১ আগস্ট ঢাকার আদালতের হাজতখানা থেকে পালিয়ে যায় আমির। এরপর সে কেরানীগঞ্জে আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে।

সর্বশেষ খবর